Today Kolkata:- কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ১৩ নম্বর আদালতকক্ষ বন্ধ থাকা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা জোর করে এজলাসে ঢুকতে গেলে বাধা দেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajshekhar Mantha) এজলাস বয়কটকে ঘিরে আইনজীবীদের মধ্যে সংঘাত শেষমেশ গড়াল হাতাহাতিতে। তৃণমূলের (Trinamool Congress) মহিলা আইনজীবীদের একাংশ এজলাসের গেট বন্ধ করে দেন।
বিক্ষোভ এবং হাতাহাতির ঘটনার পর নিজের এজলাসে শুনানি বন্ধ করে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধান বিচারপতি (Chief Justice) প্রকাশ শ্রীবাস্তব (Prakash Srivastava)। বৈঠকে রয়েছেন হাই কোর্টের অন্য বিচারপতিরা। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি বন্ধ থাকে বিচারপতি মান্থার (Justice Mantha) এজলাসে। তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে হাতাহাতি করে জোর করে এজলাসের দরজা খুলে দেন আইনজীবীদের অন্য অংশ।
১ ঘণ্টা পর এজলাসের দরজা খুলে দেন তাঁরা। এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi)। তিনি এ বিষয়ে বিচারপতি মান্থাকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেন।২ ঘণ্টা পরে এজলাসে এসেও বেরিয়ে যান বিচারপতি মান্থা। এই পরিস্থিতিতে নিজের এজলাস ছেড়ে উঠে যান প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব (Prakash Srivastava)।
বন্ধ হয়ে যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এ প্রসঙ্গে বলেন, “এটা উচিত নয়। সব তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসুন। বার অ্যাসোসিয়েশনের (Bar Association) সভাপতিকে ডেকে পাঠাচ্ছি। এই ঘটনা হওয়া উচিত নয়। বিষয়টি আমরা দেখেছি।” প্রধান বিচারপতি এই ঘটনায় বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে (Advocate General) ডেকে পাঠান। তাঁদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বিচারপতির এজলাস কীভাবে বয়কট করা যেতে পারে?”
হাইকোর্টে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট, হাতাহাতির ঘটনায় জরুরি বৈঠকে প্রধান বিচারপতি।
পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর।
১০০টিরও বেশি মামলায় রাজ্যের পক্ষের আইনজীবীরা অনুপস্থিত ছিলেন। ৪০০টিরও বেশি মামলা ডেকেও শুনানি হল না সোমবার এই পরিস্থিতিতে সব মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। ১৩ নম্বর আদালত কক্ষে বিচারপতি মান্থাকে (Justice Mantha) বয়কট করা নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।
কীভাবে এক জন বিচারপতির এজলাসের বাইরে ধর্না দিয়ে প্ল্যাকার্ড তুলে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে, সেই ছবি তুলে ধরেন আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী (Srijeev Chakrabarty)। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) প্রধান বিচারপতির এজলাসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেন। বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে ডেকে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে (Suprime Court) বিষয়টি তোলার আবেদন আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের।
রাজ্যের এজি (Advocate General) এসে প্রধান বিচারপতিকে জানান, তিনি সবেমাত্র বিষয়টি জানতে পেরেছেন। এর পরই প্রধান বিচারপতি বলেন, “কেন বোঝেন না, এই সব সুপ্রিম কোর্টে (Suprime Court) গেলে সমস্যা তৈরি হবে। ছবি, ভিডিয়ো সব রয়েছে। কেন সমস্যা ডেকে আনছেন?”