গৃহসম্পর্ক অভিযানে বিজেপি কর্মীকে খুন ঘিরে গতকাল উত্তপ্ত হয়েছিল হালিশহরের বারেন্দ্র গোলি এলাকা। ঘটনার পরেই এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাইকে করে হকি স্টিক, পেরেক লাগানো বাঁশ নিয়ে এসেছিল। গোটা এলাকা কার্যত থমথমে পরিবেশ। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
হালিশহরে গৃহসম্পর্ক অভিযান কর্মসূচিতে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন হালিশহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৈকত ভাওয়াল। বছর চল্লিশের সৈকত ছিলেন আরএসএসের কর্মকর্তা। তিনি ওই এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতিও। অভিযোগ, বিকেল ৫টা থেকে ৫.৩০টার মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী সৈকত ও তাঁর সহকর্মীদের ঘিরে ধরে। তখনই বাঁশ, লাঠি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় সৈকতকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, এলাকায় গৃহ সম্পর্ক অভিযান চালানোর সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠরা হামলা চালায়। জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি হালিশহর পুরসভার কর্মী ছিলেন। আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। হালিশহরের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেছেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। তবে এতে রাজনীতির রং লাগানো ঠিক নয়। পুরনো আক্রোশের জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তদন্ত করছে।” ব্যারাকপুরের তৃণমূলের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি তৃণমূল।”