নয়াদিল্লি: গত বছরের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা দখল নিতে চাইলে চাইনিজ পিপল লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) আগ্রাসনকে বাধা দেয় সময় ১৬ বিহার ব্যাটালিয়নের কর্নেল বি সন্তোষ বাবু সহ অন্তত পাঁচজন ভারতীয় সেনা। চিনা সেনাদের আগ্রাসনে বাধা দেওয়ার কারনেই যুদ্ধে বাধে দেই দেশের সেনার মধ্যে সেই যুদ্ধেই শহীদ হন কর্নেল বি সন্তোষ বাবু সহ ভারতীয় সেনার ২০ জন সৈনিক। দেশের প্রতি তাঁদের আত্মবলিদানকেই আগামী ২৬ জানুয়ারী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড মাঠে কুচকাওয়াজের মাধ্যমে সম্মানিত করা হবে।
জানানো হয়েছে দেশের জন্য আত্মবলিদানকারী সেনাদের মরণোত্তর শ্রদ্ধা পদক দিয়ে সম্মানিত করা হবে। তবে ঠিক কতজনকে মরণোত্তর শ্রদ্ধা পদক দিয়ে সম্মানিত করা হবে সেই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ভারতীয় সেনা মুখ না খুললেও সংবাদ সুত্রে খবর সামনের সারিতে থেকে চিনা আগ্রাসনকে প্রতিহতকারী পাঁচ জনকে এই সম্মান জানান হবে। বলা বাহুল্য যে ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় চিনা আগ্রাসন নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়ে গিয়েছে। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ এর নিকটবর্তী স্থান থেকে সরে যেতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতীয় সেনারা চিনকে পাল্টা জবাব দেয় এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত করে। দুই পক্ষের হাতাহাতি লড়াইয়ে শহীদ হন ২০ জন ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে বিবাদ মেটেনি।
লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের পরেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাদাখ থেকেই চিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন “সম্প্রসারণবাদের যুগ” শেষ হয়ে গিয়েছে। ভারতকে দুর্বল ভাবলে চিন খুব ভুল কাজ করবে। লাদাখে চিনের আগ্রাসনের পর থেকে বহু বার দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক হলেও সঠিক সমাধান সূত্র মেলেনি।