ব্রিটেন সদ্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টিকে একটি ‘বড় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করে বুধবার দিল্লির এইমস ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, কয়েক দিনের মধ্যে ভারতে আসছে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন ।
একটি ইন্টারভিউতে সংবাদ সংস্থা এএনআই’কে ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, ‘অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে ব্রিটেনে ভ্যাকসিনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে, এটা খুবই ভালো খবর। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট-ও একই ভ্যাকসিন বানানোর কাজ করছে। এটা শুধু ভারতের জন্য না, সারা বিশ্বের কাছে অনেক বড় পদক্ষেপ।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘এই ভ্যাকসিনটি দুই থেকে আট ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সংরক্ষণ করা যায়। সুতরাং এটি সংরক্ষণ এবং পরিবহন করা সহজ হবে।’ ভারতে এই ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারত নিকট ভবিষ্যতেই দেশের একটি বড় অংশের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন চালু করবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার ব্রিটেনে অনুমোদন পায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড। ব্রিটিশ ওষুধ ও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা MHRA-এর প্রস্তাব অনুযায়ী, বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার এই কোভিশিল্ডকে অনুমোদন দিয়েছে।
আশা করা হচ্ছে নতুন বছরে কিছুদিন পর থেকে কোটি কোটি ডোজ সরবরাহ করা যাবে। ব্রিটিশ মন্ত্রী মাইকেল গভের মতে, ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেশের কঠোর লকডাউনকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ব্রিটেনে আগেই মিলেছিল করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন । যা নিয়ে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। নতুন স্ট্রেন উঠে আসায় ব্যাপক হারে চিন্তা বেড়েছে ব্রিটেনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভবত নতুন স্ট্রেনের জেরেই এই দেশ করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে। বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন আগের ভাইরাসের চেয়ে ৭০ শতাংশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
তবে শুধু ব্রিটেন না বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলছে এই আরও সংক্রামক করোনার স্ট্রেন। করোনা ভাইরাসের নতুন যে রূপ সেগুলিকেই বৈজ্ঞানিক ভাষায় স্ট্রেন বলা হচ্ছে। এই স্ট্রেন ঘিরে সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। বেশ কয়েকটি দেশ ট্র্যাফিক বন্ধ করে দিচ্ছে। কোথাও আবার লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে।