Today Kolkata:- Bolpur Medical Super ‘সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন লিখে দিতে বলেন সুপার। তাঁকে বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন খোদ অনুব্রত মণ্ডলই। অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই তিনি ১৪ দিনের বেড রেস্টের পরামর্শ লিখে দেন।’ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হাজিরা নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে দশম সমন দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু প্রতিবারই তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। আর অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে বারবার তিনি নিজের অসুস্থতার কথা বলেছেন। মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী তাঁকে পরীক্ষা করেন। চিকিৎসকের বিস্ফোরক দাবি, তিনি প্রেসক্রিপশন নয়, স্রেফ সাদা কাগজে অনুব্রতকে বিশ্রামের পরামর্শ লিখে দেন। আর সেটা নাকি করেছেন ‘রোগী’ অনুব্রতের নির্দেশেই! চন্দ্রনাথ অধিকারীর কথায়, ‘সাদা কাগজে লিখে দিন’, নির্দেশ দিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার (Bolpur Medical Super)।
অন্যদিকে ‘১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিন’, বলে অনুরোধ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর এই চিকিৎসকই মঙ্গলবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে যান তাঁকে দেখতে। আর এরপরই ভাইরাল হয়েছে তাঁর সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারের একটি অডিও ক্লিপ। যা ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। কারণ, অনুব্রত কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নন। তিনি কোনও সরকারি প্রতিনিধিও নন। তবু তাঁর বাড়িতে কেন সরকারি মেডিক্যাল দল গেল? স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এ বিষয়ে চন্দ্রনাথের বক্তব্য, ‘‘আমি সরকারি কর্মচারী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে বাধ্য। আমাকে সুপার যা বলেছেন, তা-ই করেছি। আমি ডঃ বুদ্ধদেব মুর্মুকে বলেছিলাম যে, ওঁর (অনুব্রত) নামে কোনও কাগজ হাসপাতাল থেকে ইস্যু করে দিন। উনি বলেছিলেন, কোনও কাগজের প্রয়োজন নেই। কোনও প্যাড নয়, সাদা কাগজেই (প্রেসক্রিপশন) লিখে দিন।
Bolpur Medical Super ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দেওয়ার অনুরোধ করেন অনুব্রত, দাবি চিকিৎসক চন্দ্রনাথের।
Weather Red alert নিম্নচাপ, রেড এলার্ট জারি আবহাওয়া দপ্তরের।
’ চন্দ্রনাথ এও জানিয়েছেন, তিনি প্যাডে প্রেসক্রিপশন লেখেননি। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে একটি সাদা কাগজ চেয়ে কী কী করণীয় তা লিখেছেন। চন্দ্রনাথের কথায়, ‘‘ওঁর ফিশচুলার সমস্যা আছে। অসম্ভব মানসিক চাপে রয়েছেন। উনি আমাকে অনুরোধ করলেন, আমাকে ১৪ দিনের ‘বেড রেস্ট’ লিখে দিন।’’ তাছাড়া তিনি এক জন জননেতা। তাই তাঁর অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি। তবে হাসপাতালে দেখলে এই বিতর্ক হত না। এমনটাই দাবি চিকিৎসকের। এর পাশাপাশি চন্দ্রনাথ এ-ও জানান, হাসপাতালের সুপারকে তিনি বলেছিলেন, অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে। কিন্ত অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে গিয়ে দেখে আসার কথা বলেছিলেন সুপার।