Today kolkata:- CBI &Anubrata Mandal অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর গরু পাচারের তদন্তে নেমে বীরভূমে দু’টি বড় পশু হাটের উপর তাঁদের নজর পড়েছে সিবিআইয়ের। অভিযোগ, এই দুই জায়গা থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হতো গরু পাচার। এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। এও জানতে পেরেছে, এর সঙ্গে কীভাবে জড়িত ছিলেন পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ এবং শাসকদলের কেষ্টবিষ্টুরা। আবার আন্তর্জাতিক গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হকের নামে গরু বিক্রির ভুয়ো চালান তৈরি করা হত। রাজ্যের বিভিন্ন পশুহাট পরিচালন কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে এনামুলের নামে গরু বিক্রির ভুয়ো চালান সংগ্রহ করতেন অনুব্রত। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘আমি সেই সময় দায়িত্বে ছিলাম না। তাই এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে আমার মনে হয়, অভিযোগ থাকলে পুলিশ নিশ্চয় তার ব্যবস্থা নিয়েছে। ’’ জানা গিয়েছে, একটি পশু হাট ইলামবাজার ব্লকের সুখবাজারে। অন্যটি মুরারই ২ ব্লকের হিয়াতনগরে। সুখবাজারের হাটটি আয়তনে এবং কারবারের অঙ্কে বিশাল।
দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, এই হাট থেকে মুর্শিদাবাদ-সহ বিভিন্ন জেলায়, এমনকি, পড়শি দেশেও গরু পাচার হয়। এক গরু ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে এই মামলায় সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে। তিনি ওখানকার গরু পাচার সিন্ডিকেটের ‘মাথা’ বলেই খবর। তিনি প্রচুর সম্পত্তির মালিক বলে সূত্রের খবর। এর সঙ্গেই অনুব্রতের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। সেহগালের নামও চার্জশিটে রয়েছে। সূত্রের খবর, ওড়িশা এবং পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, বিহার হয়ে যে-সব গরু বীরভূমে আনা হয়, সেগুলির বেশির ভাগই ইলামবাজার পশুহাটে আসত। সরকারি ভাবে এই হাট সপ্তাহে এক দিন (শনিবার) খোলা থাকার কথা। কিন্তু, পাচার কারবার শুরু হওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই খোলা থাকত বলে অভিযোগ। পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হত পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতায়। ইলামবাজার থেকে বোলপুর হয়ে গরু পৌঁছত নলহাটি। সেখান থেকে চাতরা হয়ে হিয়াতনগর রোড সংলগ্ন গরুর হাটে।
CBI vs Anubrata Mandal গরুপাচার করা হতো দু’টি পশু হাট থেকে, কেষ্টবিষ্টুরা জড়িত বলে সিবিআইয়ের দাবি।
Sonajhuri hat অনুব্রতর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোনাঝুরির হাট বন্ধ করলেন দলীয় নেতারা।
সেই জায়গাকে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা ‘আরডি’ বা ‘বাংলা খাটাল’ও বলেন। সীমান্ত থেকে ‘সিগন্যাল’ পেলেই রাতের অন্ধকারে গরুগুলিকে ট্রাকে চাপিয়ে হিয়াতনগর মোড়, ওমরপুর হয়ে জঙ্গিপুর নিয়ে যাওয়া হত। এছাড়া অন্য একটি পথ ছিল সাগরদিঘি। নির্দিষ্ট রাতে এক ঘণ্টা বা দু’ঘণ্টা সীমান্তের চোরা পথ ‘খুলে’ দেওয়া হত। এরপর নিশ্চিন্তে নির্বাধায় গরু চলে যেত ও-পারে। সীমান্তে বিএসএফের একাংশের মদতেই এই কাজ হয় বলে অভিযোগ। গরু পাচার কারবারিদের একাংশের দাবি, এই পাচারের সূত্র ধরে কোটি কোটি টাকা আসে। সে টাকা ভাগ হয় স্থানীয় থানা থেকে শুরু করে শাসকদলের নেতাদের একাংশের মধ্যেও।