Today Kolkata:- “Mozo Oparation” কয়েক ঘণ্টা আগেও কলকাতা জাদুঘরে দাপিয়ে বেড়ানো ‘বন্দুকবাজ’ সিআইএসএফ জওয়ান তার সহকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি করায় হাড়হাম করা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে লড়াই করে সফল পেল কলকাতা পুলিশ। একেবারে যেন ফিল্মি কায়দায় আততায়ী অভিযুক্ত সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল অক্ষয় কুমার মিশ্রকে জালে ধরল। ঘাতক জওয়ানকে রুদ্ধশ্বাস অপারেশনের মাধ্যমে যেভাবে নিরস্ত্র করে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ তাতে কলকাতা পুলিশের ‘ক্যাচলাইন’ “WE CARE WE DARE”- কে কুর্নিশ জানাল অনেকেই। অক্ষয় কুমার মিশ্র, যিনি সহকর্মীদের লক্ষ্য করে AK-47 থেকে গুলি ছোড়েন। চোখের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সহকর্মীরা। তবুও নির্বিকার অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার মিশ্র। কলকাতা ‘বন্দুকবাজ’ সিআইএসএফ জওয়ানের তান্ডবের ব্যাপারে দিল্লি থেকে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনঘন ফোনে খোঁজখবর নিচ্ছেন পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে।
কারণ ক্রমাগত গুলির শব্দে গোটা এলাকা তখন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্র। ঘটনাস্থলে হাজির বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাইরে পুলিশের মাইকিং। জাদুঘর চত্বরে অযথা ভিড় না জমানোর আবেদন। মুহূর্তে হাজির একের পর এক কমান্ডো বাহিনী। কমব্যাট ফোর্স। একটি মানুষের জন্য একেবারে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছোনশপুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল থেকে ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার কিম্বা জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা। বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে শুরু অপারেশন ‘মোজো’। আততায়ীকে খুঁজে বের করতে প্রায় দেড় ঘন্টা চলে চিরুনি তল্লাশি। অবশেষে খোঁজ মেলে অক্ষয় কুমার মিশ্রর। হাতে AK-47 রাইফেল নিয়ে বসে ব্যারাক সংলগ্ন একটি ঘরে। পুলিশের বিশেষ অভিযান দল তার কাছে যেতেই অভিযুক্ত জওয়ানের কাছ থেকে আসে শর্ত। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত জানায়, ‘তাঁর কাছে নিরস্ত্র হয়েই আসতে হবে।
Mozo Oparation বন্দুকবাজ’ জওয়ানকে বাগে আনতে শর্ত মানল কলকাতা পুলিশ, সফল অপারেশন মোজো’ অভিযান!
Weather Nimnochap নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি, বাংলার উপকূলে সতর্কতা জারি।
না হলে সহযোগিতা নয়’। হাতে AK-47 রাইফেল নিয়ে বসে থাকা জওয়ানকে বাগে আনাই তখন কলকাতা পুলিশের একমাত্র চ্যালেঞ্জ। ওই মুহূর্তে পরিস্থিতির কথা ভেবে শর্ত মানলেন অপারেশনের নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশকর্তারা। কিন্তু যে জায়গায় তিনি AK-47 নিয়ে বসে সেই গোটা এলাকা কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে কমান্ডোরা ঘিরে ফেলল। অবশেষে আত্মসমর্পণ। তারপর গ্রেফতার। অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানের কাছ থেকে রাইফেল নিয়ে বড়সড় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ‘টিম অপারেশন মোজো” (Mozo Oparation)। অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার মিশ্রাকে নিয়ে জাদুঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে কলকাতা পুলিশের গাড়ির চাকা তখন ছুঁল কিড স্ট্রিট। সহকর্মীকে খুনে অভিযুক্ত হয়েও তিনি যে একেবারেই অনুতপ্ত নন, তা তাঁর শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট। হাসি মুখেই পুলিশের গাড়িতে বসে হাত নাড়তে নাড়তে এলাকা ছাড়লেন অক্ষয় কুমার মিশ্রা।