Today Kolkata:- Partha Chatterjee কখনও সবার থেকে একটু বেশি পরিমাণ খাবার দিতে হবে, আবার কখনও স্নানের সময় তাঁর গায়ে জল ঢেলে দেতে হবে। এটি ছোট কোনও বাচ্চার আবদার নয়। এহেন অদ্ভুত আবদার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ বায়না ধরেছেন, স্নানের সময় লোক দিতে হবে, যিনি ড্রাম থেকে জল তুলে তাঁর গায়ে ঢেলে দেবেন।শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। জেলবন্দি পার্থর এমন শিশু সুলভ আবদারে নাজেহাল জেল কর্তৃপক্ষ।
নিরাপত্তার কারণে ‘পহেলা বাইশ’ ওয়ার্ডে পার্থর দু’নম্বর সেলের সামনে বড় প্লাস্টিকের ড্রামে সব সময় জল রাখা থাকে।
এত দিন তিনি নিজেই মগ দিয়ে সেই ড্রামের জল তুলে স্নান করতেন। কিন্ত এখন থেকে আর সেটি করবেন না। দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি তাঁর গায়ে জল ঢেলে দেবেন, তারপরই স্নান করবেন তিনি। যদিও জেল-কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, এটা সম্ভব নয়। কারণ, এই ধরনের কোনও আইন বা বিধি নেই। তাছাড়া পার্থ অসুস্থ নন। শারীরিকভাবেও সক্ষম। তাই এই দাবি মেটানো কখনই সম্ভব নয়। এইবারই প্রথম নয়। এর আগে খাবার নিয়েও বায়না করেছিলেন পার্থ। প্রেসিডেন্সি জেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক বন্দিকে দু’টুকরো করে মাছ দেওয়া হয়। আর মাংস হলে চার টুকরো।
Partha Chatterjee স্নানের সময় ড্রাম থেকে জল তুলে গায়ে ঢেলে দিতে হবে, বায়না জেলবন্দি পার্থর।
বিশ্বকাপের মাঝেই কাতার সফরে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়, উপস্থিত থাকবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বায়না, মাছ হলে তাঁকে চার টুকরো আর মাংস হলে ছ’টুকরো করে দিতে হবে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, পার্থর কোনও অন্যায্য আবদারই মেটানো হচ্ছে না। তবে পার্থ রোজই নিজের টাকা দিয়ে ক্যান্টিন থেকে খাবার আনিয়ে খাচ্ছেন। সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর সেলের সামনে গিয়ে ক্যান্টিনের তরফে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে। আর প্রতি সপ্তাহে পার্থর আইনজীবী ও আত্মীয়েরা সেই টাকা জমা দিচ্ছেন। তবে চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁর খাবারের দিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।