Today Kolkata:- গড়বেতার গাছ কাটা ও উন্নয়ন না হওয়া নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএম সম্পাদক তথা গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ (Susanta Ghosh)। মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনিক সভা থেকে গড়বেতায় বন বিভাগের জমিতে থাকা হাজার হাজার গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনায় গড়বেতার বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরার প্রতি কড়া অবস্থান নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৈঠকে থাকা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসককে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, এঘটনায় রাজ্য সরকার কাউকে রেয়াত করবে না। দোষী সাজা পাবেই। ইতিমধ্যেই গাছ কাটার ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অঞ্চল সভাপতি ও গ্রাম প্রধানকে। দুজনেই জেলে রয়েছে। আরো ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি গড়বেতায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজ হয় ধীর গতিতে চলছে নয়ত শুরুই হয়নি। এবিষয়েও বৈঠকে সোচ্চার হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে শুক্রবার বিকেলে গড়বেতা -৩ ব্লকের বকেয়া কাজকর্ম দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে মেদিনীপুর থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন জেলা শাসক রশ্মি কোমল। তিনি সামগ্রিক বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে বকেয়া কাজ কিভাবে শেষ করতে হবে তার দিকনির্দেশ করেন। শনিবার জেলা সিপিএম কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তিনিই বর্তমানে সিপিএমের জেলা সম্পাদক। তিনি জানান, গড়বেতায় গাছ কেটে পাচার করা ও উন্নয়ন না হওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকের যে অবস্থান নিয়েছেন গড়বেতার দীর্ঘ দু দশকের প্রাক্তন বিধায়ক হিসেবে তিনি খুশি। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
Susanta Ghosh উন্নয়ন না হওয়া নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন সুশান্ত ঘোষ।
Malda Medical College মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বরেই এক মহিলাকে গণধর্ষণের চেষ্টা।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন “বামপন্থীদের সময়ে রাজ্যে চিরকুট দিয়ে চাকরি পাওয়া যেত” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝাড়গ্রামের জনসভায় করা এই দাবিকে আজ মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে, নস্যাৎ করেছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, বামপন্থীরা নিয়োগসহ সর্বক্ষেত্রেই নীতি নির্ধারণ করেছিল, স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছিল।শ্রীঘোষ মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন,গত ১১ বছরে একটিও আর্থিক দুর্নীতির জন্য, ১জন কেও ১দিনের জন্য জেলে ভরতে সক্ষম হননি। এখন নিজেকে সাধু সাজার জন্য পুরনো ১১ বছর আগের দুর্নীতিকে তুলে নিয়ে এছে মানুষের কাছে হাজির করছেন।