Today Kolkata:- “আমি যেখানে থাকি, সেটি সরকারি আবাসন। আমার ভাই যেখানে থাকেন সেটি পৈত্রিক বাড়ি। ১০০ বছরেও বেশি পুরনো। সেখানে আমাদের পিসি, কাকা সবার শরিকি ভাগ আছে। আমার লেক গার্ডেন্সের বাড়ি ৮৮ লাখ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে কেনা হয়েছে। সব কিছুর কাগজ ইডিকে দিয়েছি।” দীর্ঘ সাড়ে আট ঘণ্টা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব মিটতেই সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (WB Law Minister)৷ বুধবার সকাল আটটা নাগাদ রাজভবন ক্যাম্পাসের মধ্যে যে বাড়িতে মলয় ঘটক থাকেন সেখানে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিকেল প্রায় সাড়ে ৩টে পর্যন্ত সেখানেই ছিল সিবিআই। তার ঠিক এক ঘন্টা বাদে রাজভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের বাসভবন থেকে বেরিয়ে যান মলয় ঘটক৷ যদিও এদিন থেকে এতোটুকু দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দেখায়ষে। বরং হাসি মুখেই তিনি বেরিয়ে যান৷ এমনকী, সাংবাদিক সম্মেলনের সময়েও তাঁকে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন দেখায়নি।
এদিন সকালে প্রথমে আসানসোলে মলয়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। একইসঙ্গে কলকাতার লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেও চলে সিবিআই হানা। এদিন অন্তত সাত জায়গায় চলে সিবিআই তল্লাশি। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এখানে আমার যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিধায়ক ও মন্ত্রী হিসেবে টাকা জমা হয়, আমার আয়করের রিটার্ন দেব বলে গত এক বছরেরটা আমি তুলে রেখেছিলাম। সেটা নিয়ে গিয়েছে। আমার কাছে ১৪ হাজার টাকা ছিল। এটা তাৎপর্যপূর্ণ নয় বলে তারা সেই টাকা নিলেন না। গোনার পর ওনারা বললেন, এটা আমরা বাজেয়াপ্ত করছি না। আমার তিনটি ফোন নিয়ে গিয়েছেন, সিমগুলি দিয়ে গিয়েছে। প্রবল আত্মবিশ্বাসী মলয় ঘটক রীতিমত হুঙ্কারের সঙ্গে এও দাবি করেন, “বিজেপি সমর্থকরা বা নেতারা বাদ দিয়ে আসানসোলে কেউ যদি আমাকে কয়লার টাকা নিয়েছে বলে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব৷”
WB Law Minister আসানসোলের বাড়ি পৈতৃক, লেক গার্ডেন্সের বাড়ি লোন নিয়ে কেনা’, জিজ্ঞাসাবাদের পর জবাব আত্মবিশ্বাসী রাজ্যের আইনমন্ত্রীর।
MORE NEWS – আরও ১১২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
এবার আরও ১১২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court)। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর ১১২ জনকে চাকরির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, মোট ১৮৯ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। CONTINUE READING