ত্বকের বলিরেখা নিয়ে যত কথা
বলিরেখা কী?
আমাদের যখন বয়স বাড়ে, তখন কোষের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অর্থাৎ, জৈবিক ক্ষমতা হ্রাস পায়। এই প্রক্রিয়াটি শরীরে, বিশেষ করে ত্বকে সহজেই ফুটে ওঠে। মানুষের বয়স হলে এনজাইম কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন ত্বকে যে রেখা ফুটে উঠে তাই বলিরেখা।
বলিরেখা হবার কারণ
ত্বকের স্তর
অনেক কারণে একজন ব্যক্তির শরীরে বা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে পারে। যেমন- বংশগতি, জীবনধারা, খাদ্যাভ্যাস এবং যে পরিবেশে সে বাস করে ইত্যাদি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাসলে বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে গালে, চোখের চারপাশে বলিরেখার ভাঁজের সৃষ্টি হয়। যা বয়সের সবচেয়ে খারাপ চিহ্ন। এটা শুধু যে বয়সের চিহ্ন তা নয় অনেক সময় কোনো কারণে কোলাজেনের উৎপাদন কমে গিয়ে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে গেলেও এমন হতে পারে। আবার অন্যান্য কারণেও হতে পারে যেমন অত্যাধিক মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ধূমপান, পানি কম খাওয়া, কম ঘুমানো, ত্বকে অতিরিক্ত আলট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি।
ত্বকের বলিরেখা রোধ ও দূর করার উপায়
দোকানে এমন অনেক প্রসাধন রয়েছে যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও চোখের যত্নে আমরা রেটিনল যুক্ত আইক্রিম ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের আইসক্রিম কিনতে হবে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে জীবনযাপনের ধারা পাল্টানো। এর মধ্যে খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম (৮ ঘন্টা) উল্লেখযোগ্য। এর মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। এই অভ্যাস বয়সের ছাপ পরার আগেই শুরু করা উচিত। অনেক ধরনের খাবারই রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
প্রতিরোধে কিছু খাবার
১) গাঢ় সবুজ শাক-সবজি
গাঢ় সবুজ শাক-সবজি
গাঢ় সবুজ শাক-সবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকারি। খাদ্য তালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ,ডাটা ও শিম রাখুন। বেশির ভাগ সবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে বেশি করে সবজি খেলে তা ত্বকে বার্ধক্য আসার গতিকে ধীর করে দেয়। বেশি করে সবজি খান, সেটা কাঁচাই হোক বা রান্না করেই হোক।
২) বেদানা
বেদানায় থাকে দ্রুত হিমোগ্লোবিন তৈরির উপাদান। শুধুমাত্র হিমোগ্লোবিন তৈরির উপাদানই নয়, এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে ত্বকের বলিরেখা রোধে এই ফলটি খুব কার্যকরী।