More
    Homeপশ্চিমবঙ্গআইনজীবীকে অপহরণ করে ১৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি

    আইনজীবীকে অপহরণ করে ১৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি

    আইনজীবীকে অপহরণ করে ১৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করল অপহরণকারীরা। পুলিসকে জানালে ‘বড় ক্ষতি’ করার হুমকিও দিয়েছে তারা। এই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার রাত থেকে হইচই পড়ে গিয়েছে বারুইপুর  থানার রামগোপালপুরে। অপহৃতের নাম ক্ষীরোদ গোপাল সর্দার। বারুইপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবী তিনি। বারুইপুর থানায় অপহরণ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সকাল থেকেই তদন্তে বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। পরিবারের একটাই অনুরোধ, পুলিস যেন সত্তরোর্ধ্ব এই আইনজীবীকে অক্ষত অবস্থায় বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়।

    পুলিস সূত্রে খবর, প্রত্যেকদিনের মতোই মঙ্গলবার আদালতে যান ক্ষীরোদ গোপালবাবু। কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। মোবাইলে ফোন করা হলে অন্য একজন তা ধরেন। তিনিই জানান, খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরবেন ক্ষীরোদ গোপাল। এরপর অনেকটা সময় কেটে যায়। পরিবারের তরফে ফের ফোন করা হলে মোবাইলের সুইচ অফ বলে। পরিবারে উত্‍কন্ঠা বাড়তে শুরু করে। রাত ১০টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেননি ওই আইনজীবী। ১১টা নাগাদ ফের রিং হয় ক্ষীরোদবাবুর ফোনে।

    ফোনের ওপার থেকে অপরিচিত এক কন্ঠ শুনতে পান আইনজীবীর ছোট ছেলে। ওই ব্যক্তি বলেন, ক্ষীরোদবাবু তাঁর বহু টাকার ক্ষতি করেছেন। তাই ১৬ লক্ষ টাকা পেলে তবেই মুক্তি দেবেন। অপরিচিত ওই ব্যক্তি শুনিয়ে রাখেন, পুলিসকে কিছু জানালে বাবার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। ভয়ে রাতেই বারুইপুর থানায় ছোটে ক্ষীরোদবাবুর পরিবার। বুধবার সকালে বারুইপুরের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার ও বারুইপুর থানার আইসি দেবকুমার রায় তদন্তে নামেন। মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করতে নামানো হয় বারুইপুর পুলিস জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী রাত পর্যন্ত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই ছিল ওই আইনজীবীর মোবাইল ফোনটি। তবে সকাল থেকে ফোনটি বন্ধ থাকায় তদন্ত এগোতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিসকে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments