নয়াদিল্লি: করোনার টিকা হিসাবে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া গত ৩ জানুয়ারি কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে। তারপর থেকেই দেশে টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশে করোনার টিকাকরণ আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসবেন বিকেল ৪ টের সময়। কি ভাবে দেওয়া হবে টিকা কি কি সমস্যা হতে পারে বা তার সম্ভাব্য সমাধান কিভাবে করা যাবে সেই সমত কিছু নিয়েই আলচনা করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেশে টিকা দান নিয়ে আজ শনিবার সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব বৈঠক করেন। ভারতে তৈরি করোনার দুটি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিলেও কবে থেকে টিকাকরণ শুরু হবে সেই দিন নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। দ্বিতীয় দফার মহড়া শেষ। তবে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরন হবে বলেই জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী ট্যুইট করে লিখেছেন, “১৬ জানুয়ারি ভারত করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐতিহাসিক পদেক্ষপ করতে চলেছে। এ দিন থেকেই দেশ জুড়ে টিকাকরণ শুরু হবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে আমাদের সাহসী চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, সাফাই কর্মচারিসহ ফ্রন্টলাইন কর্মীদের।”
অন্যদিকে, ১৬ তম প্রবাসী ভারতীয় দিবসের কনভেনশনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”বিশ্বের সব দেশকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে এসেছে ভারত। এখনও করছে, ভবিষ্যতেও করবে। গোটা দুনিয়া শুধু ভারতের টিকার অপেক্ষায় নেই, ভারত কী ভাবে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি চালায়, তা দেখার জন্যও তাকিয়ে আছে।” প্রায় এক কোটি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং প্রায় দুই কোটি মানুষ যারা মহামারীর বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করেছেন সেই সমস্ত চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন যে এই গোষ্ঠীর জন্য করোনার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, কীভাবে কীভাবে কোথায় এই টিকাকরণ হবে সেই বিষয়ও স্পষ্ট নয় কারো কাছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এমনটাই মনে করা হচ্ছে।