দুস্কৃতিদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতার দেহ রেখে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন দলীয় নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি রাজগঞ্জে, মঙ্গলবার ভোরে মহম্মদ সোলেমান নামে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গত রবিবার রাতে রাজগঞ্জের গন্ডারমোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন।
মঙ্গলবার তাঁর দেহ এলাকায় এলেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত ধরার দাবিতে মৃত তৃণমূল নেতার দেহ নিয়েই জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শাসকদলের নেতারা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহম্মদ সোলেমান স্থানীয় তফসিলি জাতি, জনজাতি ও ওবিসি সেলের নেতা ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলরাম অঞ্চলের বুথ সভাপতি ছিলেন নিহত তৃণমূল নেতা। শাসকদলের নেতাদের দাবি, এই খুনের পিছনে হাত রয়েছে বিজেপির।
গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে রাজগঞ্জে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহত তৃণমূল নেতা বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রেই তিনি রবিবার গিয়েছিলেন রাজগঞ্জ ভুটকি হাটে। রাতে ফেরার পথে গন্ডারমোড়ে একটি লটারির দোকানে বসেছিলেন। সেখানেই দুজন দুস্কৃতী বাইকে এসে খুব সামনে থেকে গুলি করে চম্পট দেয়। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল নেতার।