মাওবাদীদের অর্থ জোগানের অভিযোগে এনআইএ গ্রেফতার করল কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে।। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির রাঁচি ইউনিটের আধিকারিকরা মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেন। ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য বুধবার তাঁকে কলকাতার এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হবে।
মাওবাদীদের অর্থ জোগানের অভিযোগ, NIA-র জালে কলকাতার ব্যবসায়ী
Read More-INS Ranvir-এ ভয়াবহ বিস্ফোরণ, তিন নৌসেনা কর্মীর মৃত্যু, আহত অন্তত ১১ জন
এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যবসায়ীর নাম মহেশ আগরওয়াল। আধুনিক পাওয়ার নামে একটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন তিনি। অভিযোগ, মাওবাদীদের নিয়মিত আর্থিক সাহায্য করেন ওই ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতে মহেশ তাঁর কলকাতায় বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিল। ঠিক সেই সময়েই রাঁচি ইউনিটের আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় এনআইএ। বুধবার তাঁকে এনআইএ-এর আদালতে তোলা হবে। নরেন্দ্র মোদী সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পরেই নকশালমুক্ত দেশ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পূর্ব ভারতের মাওবাদী সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করতে নবান্নে এসেছিলেন রাজনাথ সিং। এমনিতে পূর্ব ভারতে মাওবাদী সমস্যা অনেকটাই কমেছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য তা একেবারে নিশ্চিহ্ন করা। ফলে মাঝেই মাঝেই মাওবাদীদের সঙ্গে যুক্তদের ধরপাকড়ের খবর মেলে। গতবছরই হুগলির বৈদ্যবাটির একটি আশ্রম থেকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-র রাঁচি রেজিমেন্টের শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ।
এবার জালে কলকাতার ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, এই আধুনিক পাওয়ারের যাবতীয় কারখানা ঝাড়খণ্ডে। কলকাতায় তাদের অফিস। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জমানায়, এদের রঘুনাথপুরে জমিও দেওয়া হয়েছিল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য। যদিও পরে সেই প্ল্যান্ট আর হয়নি। অনেকের মতে, ঝাড়খণ্ডে অনেক শিল্প সংস্থাকেই চাপের মুখে মাওবাদীদের টাকা দিতে হয়। সেই ভাবেই এই ব্যবসায়ী টাকা দিতেন কি না তা স্পষ্ট নয়।