তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামীকাল, রবিবার গোয়া সফরে যাচ্ছেন। ঠিক তার আগে পানাজির তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী বলে অভিযোগ। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানার–ফেস্টুন–পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। এই গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত আছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের।
গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে ভাঙচুর–তাণ্ডব, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ ঘাসফুল শিবির
Read More-করোনামুক্তির কতদিন পর নিতে পারবেন বুস্টার ডোজ? নতুন গাইডলাইন দিল কেন্দ্র
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই হামলা ও তাণ্ডব নিঃসন্দেহে বিজেপির ভয়ের কারণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ত্রিপুরায় পুরসভা নির্বাচনের আগে থেকে হামলা, তাণ্ডব নামিয়ে আনা হয়েছিল। এবার এই বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানী পানাজির তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এখানের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করা হয়।
ঠিক কী ঘটেছে পানাজিতে? জানা গিয়েছে, এখানে রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী এসে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে ভাঙচুর, হামলা থেকে তাণ্ডব চালায়। ব্যানার–ফেস্টুন–পতাকা ছিঁড়ে দেয়। এমনকী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টারও ছেঁড়া হয়। এই সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে। এই হামলায় কয়েকজন পুলিশকর্মী জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গোয়ায় এই ঘটনাকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘জাতীয় স্তরে এখন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ওরা ভয় পাচ্ছে। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ক্রমশ আঘাত নেমে আসছে।’ আগামীকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ায় পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেবেন বলে সূত্রের খবর।