মোদি বলেছেন, ‘দিদি বাংলার কৃষকদের জন্য ভাবেননি, ক্ষতি করেছেন। ২ মে বিজেপির সরকার গঠনের পরই কৃষক প্রকল্পের টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। ৩ বছরের বকেয়া টাকাও কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। মত্স্যজীবীদের শুধুমাত্রা তোলাবাজি দিয়েছেন দিদি।আসল পরিবর্তন আর মাত্র একমাস দূরে।’
জয়নগরের সভায় মোদি আরও বলেছেন, ‘দিদি আমি মরসুমি ক্ষমতাধারী লোক নই।
খেলার মাঠ ছিল, আছে, থাকবে। বিজেপির জন্য বাংলা উন্নয়ন, শিক্ষা, শিল্পর মাঠ হয়ে উঠবে।সোনার বাংলার লক্ষ্যে বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার কাজ করবে।’
‘আমায় যত খুশি গালাগাল দিন, কিন্তু মানুষকে অপমান করবেন না।আমি বাংলাদেশে গিয়ে ওড়াকান্দিতে মতুয়া মন্দিরে গিয়েছিলাম। তাতেও দিদি রেগে গিয়েছিলেন। হরিচাঁদ ঠাকুরকে প্রণাম করা কি অপরাধ!’
‘দিদি ঘাবড়ে গিয়ে আগেই ইভিএমের দোষ দিয়েছেন’। তিনি বলেছেন, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগানে মমতার সমস্যা। দুর্গা বিসর্জন নিয়েও মমতার সমস্যা।এখন দিদি তিলক দেখলেও রেগে যাচ্ছেন। দিদি নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছেন।উত্তর প্রদেশ, বিহার সম্পর্কে যে মন্তব্য করছেন, তা দিদির রাজনৈতিক বোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।’
বিজেপির বিরুদ্ধে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গ তুলে মোদি বলেছেন, ‘দিদি হারের ভয়ে দেশের কিছু নেতাকে চিঠি লিখেছেন। যদি গত ১০ বছরে বাংলার জন্য কাজ করতেন, তাহলে এক জায়গায় ৩ দিন থাকতে হত না।’
‘দিদির কিছু সিদ্ধান্ত বাংলার এক্সিট পোল হয়ে গেছে।দিদি ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে গেলেন। ভোটের গতিবিধি বলছে দিদির হার নিশ্চিত।’
মোদি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘রক্তের খেলা আর চলবে না।অত্যাচারের খেলা চলবে না।’
নিমতায় বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে মোদি বলেছেন, ‘শোভা দেবীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি।অবাক লাগে, এত অত্যাচারের পরেও দিদি কুল কুল বলেন।দিদি তৃণমূল কুল নয়, বাংলার মানুষের কাছে শূল। বাংলার মানুষের কাছে তৃণমূল অত্যাচারের শূল। দিদি আপনাকে হত্যার হিসেব দিতে হবে।’