দুই যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর জেরে উত্তেজনা ছড়ালো নদিয়া জেলার শান্তিপুরে। এই ঘটনায় রাজনীতির যোগ টেনে এনে আগামিকাল শুক্রবার শান্তিপুরে ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে বিজেপি। যদিও ওই দুই যুবকের পরিবারের তরফে বলা হয়েছে এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগ নেই। নিহত দুই যুবক বিজেপির সমর্থক বা কর্মীও ছিল না। বিজেপি কার্যত এই খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য বনধের ডাক দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুর মেথিডাঙ্গা এলাকায় একটি কলা বাগান থেকে দুই যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। মৃতদেহেই একাধিক ক্ষত চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত দুই যুবক পরস্পরের বন্ধু। তা৬দের মধ্যে একজনের নাম দীপঙ্কর বিশ্বাস(৩৫) অন্যজন প্রতাপ বর্মন (২৪)। তাদের বাড়ি নৃসিংহপুরের চরা ও বর্মন পাড়া এলাকায়। পেশায় তারা দিনমজুর। বুধবার বিকেলে বাইকে চেপে দীপঙ্কর ও প্রতাপ বেরিয়েছিল। রাতে তাঁরা কেউ বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোক একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও, তাদের দু-জনের ফোন সুইচ অফ ছিল। এরপরেই সকালে দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, মৃতরা বিজেপির সঙ্গে মোটেও যুক্ত ছিলেন না। যদিও বিজেপির দাবি, মৃত দুজন তাঁদের দলের সদস্য ছিলেন। ঘটনার প্রতিবাদে কাল শান্তিপুরে বনধের ডাকও দিয়েছে বিজেপি। যদিও কীভাবে দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণে খুন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বিজেপির অভিযোগ, দু’জনেই বন্ধু অন্তপ্রাণ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ওই দুই যুবককে খুন করেছে। এই অভিযোগ তুলেই এদিন সকাল থেকেই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে প্রথমে শান্তিপুর থানায় নিয়ে আসেন। সেই সময় থানায় আসেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারও। তিনিই অভিযোগ তোলেন যে, দীপঙ্কর ও প্রতাপ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁদের খুন করেছে। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদও দেখান তাঁরা। একই সঙ্গে এই খুনের প্রতিবাদে আগামিকাল বিজেপির তরফে ১২ ঘণ্টার শান্তিপুর বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।