করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা স্কুল ভবনগুলি সংস্কারের জন্য রাজ্য ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। এই অর্থে ৬ হাজার ৪৬৮টি স্কুল ভবন মেরামতি হবে। ইতিমধ্যেই নবান্নের এই সিদ্ধান্তে প্রশাসনিক সম্মতি জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
পুজোর পর স্কুল খোলার প্রস্তুতি, স্কুল ভবন সংস্কারে ১০৯ কোটি অর্থ বরাদ্দ রাজ্যের
Read More-Weather: পুজোর আগে রাজ্যে ফের বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
লকডাইনের সময় থেকে প্রায় বছর দেড়েকের উপর বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি বাদে বাকিদের আনলাইনেই হচ্ছে পঠন-পাঠন। কমানো হয়েছে সিলেবাস। কিন্তু করোনা সংক্রমণ কমতেই স্কুল খোলার দাবি উঠছে। অগস্টেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুজোর ছুটির পর স্কুল খোলার ছাড়পত্র দেবে রাজ্য সরকার। এবার পুজোর ছুটির আগেই স্কুল ভবনগুলি সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করল নবান্ন। প্রশানের এই পদক্ষেপ পুজোর ছুটির পর স্কুল খোলার উদ্যোগের প্রস্তুতি হিসাবেই মনে করা হচ্ছে।
Read More-আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শপথ নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা, আমন্ত্রণ জগদীপ ধনখড়কে
দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ স্কুল। এর মধ্যেই আমফান, ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল ভবনগুলি। এত দিন বন্ধ থাকায় স্কুল ভবনগুলির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা জেলা শসাকদের থেকে আগেই জানতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। বলা হয়েছিল সংস্কার বাবদ প্রয়োজনীয় খরচ কত হতে পারে তা জানাতে। সেই মতোই গত ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেনা থেকেই রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে বিকাশ বভনে। তারপরই স্কুল ভবন সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ করল নবান্ন।
Read More-Facebook-র ‘দীর্ঘতম’ বিভ্রাটের জন্য ক্ষমা চাইলেন মার্ক জুকেরবার্গ
বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু, এই হারই যে বজায় থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এরই মধ্যেই কেন্দ্রকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে যে, আক্টোবরে ফের সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। আর এর প্রবাব শিশুদের উপর বেশি পড়বে। ফলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্কুল খুলতে চাইছে রাজ্য। তারই আগাম প্রস্তুতি হিসাবে স্কুল ভবন সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হল।