আবারও আন্দোলনে নেমে পড়লেন শিক্ষকেরা। এদিন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে জড়ো হয়ে পোস্টার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ছবি সহ ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার। এর পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের সামনে দেওয়ালে ‘বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ত্রিপুরায়, শিক্ষকরা বঞ্চিত অসহায়’ লেখা পোস্টার মেরে বিক্ষোভও দেখান। আর শিক্ষকদের এই আন্দোলনের জেরেই এবার সামনে চলেছে এসেছে যে এই সংস্থাটি বিজেপির ইশারায় চলছে। নাহলে তাঁরা ত্রিপুরার উদাহরণ টেনে আনতো না। ত্রিপুরাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। তাই ত্রিপুরার শিক্ষকেরাই এখন তৃণমূলকে পাশে পেতে চাইছেন। তার জেরে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। এখন ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেবে তাঁরা কার্যত রাজ্যের ওপর পাল্টা চাপ তৈরি করতে চাইছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ছবি সহ ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার হাতে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ
Read More-তালিবান-সমর্থন সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের পোস্ট নিষিদ্ধ করল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ
এদিন বিক্ষোভকারীরা তাঁদের অভিযোগ সম্পর্কে জানান, বাংলার পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে ৩৬০০ জন শিক্ষিকা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে এবং ৩৬ জন অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার কর্মরত আছেন। তাঁদের শিক্ষা দফতরে নিয়ে আসার বিষয়ে মন্ত্রিসভাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেইমতো পৌর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে তাঁদের ফাইল অর্থ দফতরে এবং শিক্ষা দফতরে আসার কথ থাক লেও তা দীর্ঘদিন যাবত্ আটকে আছে। ফলে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও বার্ষিক ৩% ইনক্রিমেন্ট ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তাই এদিন বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি দাওয়া জানানো হয়। যার মধ্যে আছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এসএসকে, এমএসকে ও এএস-রা যেমন শিক্ষা দফতরে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তেমনি পৌর ও নগরোন্নয়নের অধীনস্থ এসএসকে, এমএসকে ও এএস-দের শিক্ষা দফতরে যুক্ত করতে হবে এবং বার্ষিক ৩% বেতন বৃদ্ধি ও তিন লক্ষ টাকা অবসরকালীন বেনিফিট দিতে হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যের ৬০০ জন অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার ও ১৭ জন ডিকিউএম কর্মীদের শিক্ষা দফতরে সম্মানজনক পদ মর্যাদা সহ বকেয়া বার্ষিক ৩% বেতন বৃদ্ধি ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রে জনবিরোধী বিজেপি সরকার দ্বারা শিক্ষা বিরোধী নীতি জাতীয় শিক্ষানীতির কবল থেকে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের জীবন ও জীবিকা সুনিশ্চিত করতে হবে। এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো পার্শ্বশিক্ষক সহ সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি সহ স্থায়ী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ন্যায্য পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।