অবশেষে চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল। আগামী ১৫ নভেম্বর (সোমবার) থেকে রাজ্যে খুলে যাচ্ছে স্কুল এবং কলেজ। সোমবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং দুয়ারে সরকারের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তথ্য দিচ্ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তারইমধ্যে মুখ্যসচিবকে থামিয়ে মমতা বলেন, ‘কালীপুজো হচ্ছে চার তারিখ (চার নভেম্বর)। ১০ ও ১১ তারিখ হচ্ছে ছটপুজো। ১৩ তারিখ হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। তোমায় যা করতে হবে ১৫ তারিখ (১৫ নভেম্বর) থেকে করতে হবে। স্কুল, কলেজ খোলার বিষয়টি ১৫ তারিখ (১৫ নভেম্বর) থেকে করে দাও। তার আগে স্কুল-কলেজগুলি পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলি মাথায় রাখ।’
এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ থেকে রাজ্যের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন রাজ্যে স্কুল, কলেজ খুলে গেলেও সেই পথে হাঁটেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তা নিয়ে একটি মহল থেকে সমালোচনাও হচ্ছিল। তারইমধ্যে চলতি বছরের অগস্টে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ভয়ংকর না হলে পুজোর ছুটির পর রাজ্যে স্কুল খুলে যাবে। বলেছিলেন, ‘রাজ্যে আপাতত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সংক্রমণ এক শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামিকাল কী হবে, তা নিয়ে এভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে।’ সঙ্গে যোগ করেছিলেন, ‘দুর্গাপুজোর পর স্যানিটাইজেশন করে স্কুল খুলবে। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তৃতীয় ঢেউ না এলে স্কুল খোলা হবে।’