এই প্রথম আজ বাম, কংগ্রেস একসঙ্গে ব্রিগেড সমাবেশ হচ্ছে । এই সমাবেশে একসঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট । তাই এবারের ব্রিগেড সম্পূর্ণ অন্য রকম। আর এই অন্য রকম ব্রিগেডে আজ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ব্রিগেডমুখী হয়েছেন। বাঁকুড়া, বীরভূম ,মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা থেকে বাসে করে অগণিত মানুষ আসছেন সকাল থেকেই ব্রিগেডে । তাদের করোও হাতে সিপিএম-এর পতাকা করোও হাতে কংগ্রেসের পতাকা ও করোও হাতে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের পতাকা। সবার স্লোগান একটাই, তৃণমূল ও বিজেপিকে পরাজিত করতে হবে।
এই ভিড়ের অন্যতম স্লোগান, আমরা কাজ চাই, জিনিসের দাম কমুক সেটা চাই, প্রতি বছর রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষা হোক সেটা চাই। তৃণমূল সরকার এসএসসি(SSC), পিএসসি(PSC)পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা চাই রাজ্যের বেকারদের চাকরির জন্য পরীক্ষা হোক। তৃণমূল ও বিজেপি(BJP) সরকার সেটা করছে না। তাই আমরা চাই বাম(Left), কংগ্রেস জোটের সরকার হোক।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একবার বলেছিলেন, গণতন্ত্রে রামধনুর সাত রং বজায় থাকুক। তাঁর দল সিপিএম(CPM) তাঁর এই কথার সেদিন সমালোচনা করেছিল। আজ কিন্তু ব্রিগেড গণতন্ত্রের রামধনুর ছটা দেখা যাচ্ছে। বামেরা ১৯৭৭ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, সেই কংগ্রেস আজ বামেদের ব্রিগেড সঙ্গী। রাজ্য থেকে ২০১১তে এই কংগ্রেসই বামফ্রন্ট সরকারকে অপসারিত করতে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিল । আজ সেই কংগ্রেস কিন্তু রাজ্য থেকে তৃণমূলকে অপসারিত করতে চিরশত্রু বামেদের সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে। ব্রিগেডে আজ সীতারাম ইয়েচুরি, অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এক মঞ্চে দেখা যাবে। যেটা অতীতে কোনোদিন হয়নি। তাই এই ব্রিগেডে যে বিপুল জনসমাগম হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই আজ রাজ্য ব্রিগেডমুখী হয়েছে।