সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সহকারী পিন্টু দে ওরফে বাপ্পাদা। নিয়মিত ব্ল্যাকমেলের ধাক্কা সামলে উঠতে না পেরে গত ২রা মার্চ আত্মঘাতী হন অঙ্কুশের আপ্তসহায়ক, খবর পুলিশ সূত্রে। এই মামলার তদন্তে নেমে বড় সাফল্য লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের সাইবার সেলের। পিন্টু দে-র মোবাইল ফোন ঘেঁটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজস্থানের ভরতপুর থেকে অভিযুক্ত আয়ুব খানকে গ্রেফতার করা হয়। টাকা না দিলে নেটমাধ্যমে গোপন ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার আপ্ত সহায়ককে। এখানেই শেষ নয়, নিজেকে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন অভিযুক্ত আয়ুব খান। মূলত হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া পিন্টু দে-কে।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত ১১ মার্চ রাজস্থানে গ্রেফতার করা হয় আয়ুব খানকে। সেইদিন ভরতপুর আদালতে তোলা হয় তাকে, বিচারক আয়ুব খানের ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ধৃতকে কলকাতায় এনে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে গোয়েন্দা বিভাগ।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, তোলাবাজি ,জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে ধৃত আয়ুব খানের বিরুদ্ধে।
আয়ুব খানের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানান অঙ্কুশ। তিনি লেখেন, ‘একজন দোষী যে জড়িত ছিল এই সাইবার ক্রাইমে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি খুশি যে তদন্ত সঠিক পথে চলছে। দ্রুত সুবিচার মিলবে। কিন্তু আমি তোমাকে আজীবন মিস করব বাপ্পাদা। আমার খুব একা লাগে যথন আমি শ্যুটিংয়ে যাই বা শো-তে যাই। একটাই আক্ষেপ… শুধু একবার বলতে পারতে তোমার কষ্টটা। ভালো থেকো’।