সোমবার শীতলকুচি সফরে সিআইডি-র ফরেন্সিক ব্যালেন্সিক টিম। উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটের সকালেই রক্তাক্ত হয়েছে কোচবিহার। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এদের মধ্য়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে তাঁদের মধ্য়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন মানুষ ভূলতে পারেনি সেই ঘটনা। গন্ডগোল যখন বাইরে হচ্ছিল, তখন কীকারণে বুথের দিকেই গুলিবর্ষণ হয়েছিল, উঠে এসব প্রশ্নও। সেদিন ঠিক কী ধরণের গুলি চলেছিল তা খতিয়ে দেখতেই এদিন শীতলকুচি যাচ্ছে ফরেন্সিক ব্যালেন্সিক টিমের তিন সদস্যের দল।সিআইডির রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, বাইরে গন্ডোগোল হলেও বুথের ভিতর দরজা ভেদ করে গুলি ঢুকে যায়। গুলি লাগে ব্ল্য়াক বোর্ডেও। বাইরে অশান্তি হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে ভিতরে গুলি গেল, এটাই খতিয়ে দেখতে শীতলকুচি যাচ্ছে ফরেন্সিকের ব্যালেন্সিক টিম। সোমবার তিন সদস্যের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবেন। ঠিক কী ধরণের গুলি চলেছিল, তা পরীক্ষা করে দেখবেন ফরেন্সিক ব্যালেন্সিক টিমের অভিজ্ঞ অফিসাররা। ঘটনার দিন গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন, সিআইএসএফ-র গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। পরে ১০ এপ্রিল অর্থাত্ ঘটনার দিনের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তিন জনের বুলেট ইনজুয়েরি এবং সামিউল মিঞাঁ নামে অপর এক জনের স্প্লিন্টারের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। আর এখানেই শীতলকুচিকাণ্ড ক্রমশই রহস্যময় হয়ে উঠছে।