উচ্চ মাধ্যমিকের পর বোটানি পড়লে আপনার সামনে অনেক রকমের ক্যারিয়ারের দরজা খোলা থাকে। শুধু শিক্ষকতা বা গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেন না, বরং চাইলে অনেক আকর্ষণীয় কাজের সাথেও জড়িয়ে পড়তে পারবেন।
কি কি কাজ করতে পারবেন:
গবেষণা:
ট্যাক্সোনমি/সিস্টেমেটিক্সে স্পেশালাইজেশন করলে বোটানিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় গবেষক হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
বায়োকেমিস্ট্রি বা প্লান্ট প্যাথোলজিতে স্পেশালাইজেশন করলে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (আইসিএআর)-এ কৃষি গবেষণা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এছাড়াও, বোস ইনস্টিটিউট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বেঙ্গালুরু, দেরাদুনের ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সিএসআইআর, ডিএসটি, টিআইএফআর, ডিবিটি-র মতো কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানে গবেষণার সুযোগ পাবেন।
শিক্ষকতা:
স্কুল ও কলেজে শিক্ষক হিসেবে পড়াতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষক বা অধ্যাপক হতে পারবেন।
অন্যান্য:
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস, ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস, ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিস, এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সার্ভিসের মতো সরকারি চাকরিতে যেতে পারবেন।
ব্যাংক, বিমা, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, বায়োটেক কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।
NGO-তে কাজ করে পরিবেশ রক্ষা, গ্রামীণ উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়নের সাথে জড়িত হতে পারবেন।
নিজস্ব উদ্যোগে নার্সারি, ফুলের বাগান, ঔষধি উদ্ভিদের চাষ, বীজের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
কোন বিষয়ে স্পেশালাইজ করবেন:
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে আপনি মাস্টার্সে স্পেশালাইজ করতে পারবেন।
ট্যাক্সোনমি/সিস্টেমেটিক বটানি:*
উদ্ভিদের নামকরণ, শ্রেণীবিন্যাস, বিবর্তন নিয়ে কাজ করতে চাইলে এই বিষয়টি বেছে নিতে পারেন।
জেনেটিক্স:
উদ্ভিদের জিনগত বৈশিষ্ট্য, জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত জাত তৈরি নিয়ে কাজ করতে চাইলে এই বিষয়টি বেছে নিতে পারেন।
টিস্যু কালচার:
ল্যাবরেটরিতে কৃত্রিমভাবে উদ্ভিদ টিস্যু থেকে নতুন উদ্ভিদ তৈরী।