Today Kolkata:- উত্তরপ্রদেশ জুড়ে চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। সেখানে আরও ২০ টি বিমানবন্দর তৈরি হবে! যার মধ্যে পাঁচটি হবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঘোষণা চউত্তরপ্রদেশ সরকা্রের। এই মুহূর্তে ৯ টি বিমানবন্দর কাজ করছে। যেখান থেকে অন্তত ৪০ টি গন্তব্যের সঙ্গে বিমান পরিষেবা যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। গত কয়েকবছরে উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে কার্যত উন্নয়নের কাজ চলছে। কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে একাধিক ক্ষেত্রে স্পষ্ট উন্নয়নের ছাপ।
যার মধ্যে বিমান পরিষেবার উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না বলছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাজ করছে। জেওয়ার এবং অযোধ্যায় আরও দুটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। আর এর মধ্যেও পাঁচটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উত্তরপ্রদেশে কাজ শুরু করে দেবে বলে জানিয়েছেন যোগী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী। আর তা চালু হয়ে গেলে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যন্ত সহ একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে।
আর এর মধ্যে সুরেশ খান্না আরও জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার Jewar বিমানবন্দরের রানওয়ে সংখ্যা দুই থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুরেশ খান্না জানিয়েছেন, যোগী সরকারের আমলে চারটি বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। তবে ছয়টি বিমানবন্দরের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সেগুলি হল আলিগড়, আজমগড়, মোরাদাবাদ, চিত্রকুট, শোনভদ্র এবং সারভাস্তি বলে জানা যাচ্ছে। তবে খুব শীঘ্রই এই বিমানবন্দর তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, আগামী বছরের মধ্যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক, ১৬টি ডমেস্টিক অর্থাৎ মোট ২১ টি বিমানবন্দর কাজ করতে শুরু করে দেবে বলেও জানিয়েছেন সুরেশ খান্না।
তাঁর কথা অনুযায়ী, রাজ্যের মানুষের জন্যে বিমানযাত্রা অনেক সহজলভ্য হবে বলে মনে করছে সরকার। শুধু বিমানেই নয়, রাজ্যে রেল এবং রোপওয়ে যোগাযোগের উপরেও বিশেষ নজর দিচ্ছে যোগী সরকার। আর তা ২০২৩-২৪-এর বাজেটে স্পষ্ট। তবে বারাণসিতে মানুষের যাতায়াতের জন্যে ভারতের প্রথম রোপওয়ে প্রজেক্টের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে যোগীর বাজেটের। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের চারটি বড় শহরে মেট্রো রেল পরিষেবা দিতে আগামী অর্থবছরে ২৫০০ কোটিরও বরাদ্দের প্রস্তাব বাজেটে। এছাড়াও বাজেটে লখনউ সহ প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও পর্যাপ্ত সমস্ত পরিকাঠামো তৈরির করার ক্ষেত্রেও বাজেটে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তবে বারাণসি সহ অন্যান্য শহরের মধ্যে রোপওয়ে যোগাযোগ গড়ে তুলতে ১৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে।