টুডে কলকাতাঃ এবার ডিএ আন্দোলনের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন অভিষেক। ‘বনধের নামে বিশৃঙ্খলা চলছে’। ডিএ আন্দোলনের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন হতেই পারে। ডিএ আন্দোলনকারী ধর্মঘট ডেকেছেন। মানুষ ধর্মঘট সমর্থন করে না। কর্মনাশা বনধ চায় না’। ডায়মন্ড হারবারে চড়িয়াল ব্রিজ উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের মোদী সরকারের সঙ্গে সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের এইভাবে কটাক্ষ করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শুক্রবার ডিএ-এর দাবি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটের সমালোচনা শোনা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এদিন চড়িয়াল ব্রিজ উদ্বোধনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ”আজ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএ দাবিতে বনধ ডেকেছেন। কর্মনাশা বনধের দিন কিছু তো একটা ভালো হোক তাই আজ এই ব্রিজের উদ্বোধন করছি। কর্মনাশা বনধকে কেউ সমর্থন করে না। অধিকার আদায়ের জন্য কেউ বিক্ষোভ দেখাতেই পারেন কিন্তু এই কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করা ধর্মঘট সমর্থন যোগ্য নয়।” এখানেই শেষ নয় কেন্দ্রের মোদী সরকারকে দায়ী করে বকেয়া ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ”যারা বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলন করছেন, তাদের বলব যান দিল্লি গিয়ে আন্দোলন করুন।
আগে বাংলার বকেয়া ফিরিয়ে আনুন।” পশ্চিমবঙ্গের থমকে থাকা কাজগুলির কারণ হিসেবে কেন্দ্রের বকেয়া আটকে রাখাকেই দায়ী করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবার সাংসদের দাবি, ”উন্নয়ন যাতে থমকে না থাকে তাই মুখ্যমন্ত্রী বাংলার ফান্ড থেকেই সব ব্যবস্থা করছেন। কেন্দ্র নয়, রাজ্যের টাকায় তৈরি হচ্ছে রাস্তা। ৫২ হাজার কোটি টাকা পাশ করিয়ে সমস্ত রাস্তার কাজ শুরু হচ্ছে। শুধু ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেই ৭০০ রাস্তা তৈরি হচ্ছে।” এদিকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এখনও অনড় যৌথমঞ্চ।
আরও পড়ুন – শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টলি-যোগ ? ইডি-র নজরে টলিউডের আরও পাঁচ অভিনেতা অভিনেত্রী
এদিন রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করলেন আন্দোলনকারী। কীভাবে? স্কুল, আদালত-সহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন অনেকেই। আবার যেসমস্ত সরকারি কর্মচারী স্বেচ্ছা কাজে যোগ দিতে যান, তাঁদের বাধাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র বিষয়ে জানতে চান রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোসের কাছে রাজ্যের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রাতে ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানান রাজ্যপাল।