চার দফা শেষ হয়েছে আর বাকি রয়েছে চার দফা। ভোটমুখী বাংলায় ক্রমেই বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। কমিশনের কড়া নজরদারি থাকলেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে রাজনৈতিক দলগুলি। আর তার রেশ ধরেই এবার নৈহাটিতে গুলিবিদ্ধ হলেন ১ বিজেপি কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং এলাকার বিজেপি কর্মীরা। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর নাম মিঠুন পাসোয়ান। তাঁর ডান হাতে লাগে গুলি। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীকে স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের তত্পরতায় দ্রুত কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিত্সা চলছে তাঁর। এলাকার স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের দলের কর্মীকে বেশ কিছুদিন ধরেই ভয় দেখাচ্ছিল তৃণমূলের গুন্ডারা। আমাদের কর্মী এলাকায় বিজেপির হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছিলেন সেই অপরাধেই গুলিবিদ্ধ হতে হল। এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। নৈহাটিতে গুলি চলেছে এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে নৈহাটি থানার পুলিশ ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপির আদি এবং নব্য গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় লড়াই চলছে আর তার জেরেই এলাকায় চলছে গুলি। এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করছে বিজেপির বহিরাগত গুন্ডারা। বিজেপি নৈহাটিতে হারছে তাই এখম মিথ্যা বলছে তৃণমূলের নামে বলেই জানাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূল নেতারা।
নৈহাটিতে বিজেপি কর্মীর উপর গুলি চালানোর ঘটনায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল হেরে গেছে বুঝেই এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। হিংসার পথ বেছে নিচ্ছে। মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে যাচ্ছে সেচা তৃণমূলের সহ্য হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। আর সেখানে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নিতে চাইছে। মানুষ ভোটে হারিয়ে তৃণমূলকে এর যোগ্য জবাব দেবে।