More
    Homeখবরএলাকাবাসীর আন্দোলন ও চাপে পড়ে অবশেষে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করল মানিকচক ব্লকের...

    এলাকাবাসীর আন্দোলন ও চাপে পড়ে অবশেষে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করল মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরের দুটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

    এলাকাবাসীর আন্দোলন ও চাপে পড়ে অবশেষে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করল মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরের দুটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

    Read more:-বিধানসভার পর এবার পৌরসভা নির্বাচনে এবার অভিনেতা হিরন

    মালদা : এলাকাবাসীর আন্দোলন ও চাপে পড়ে অবশেষে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করল মানিকচক ব্লকের মথুরাপুরের দুটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিন তিথি ছাড়াই সাড়ম্বরে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। আগামী দিনে এমন ভুল আর হবে না বল এলাকাবাসীর কাছে জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

    মালদার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর এলাকায় অবস্থিত মথুরাপুর ম্যানেজ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মথুরাপুর গার্লস জুনিয়র বিদ্যালয়।এই দুটি বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর দিন কোনরকম পুজোর আয়োজন করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুজোর দিন ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে এসে পূজো না হয় এবং শিক্ষকদের দেখতে না পাওয়ায় রীতিমতো হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদের। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা সহ অভিভাবকদের নজরে আসতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়াই। পরের দিন থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে অভিভাবক সহ স্থানীয়রা। বিদ্যালয় গুলিতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখানোর সাথে এসআই দপ্তরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসীর। গোটা ঘটনায় প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের তরফে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেওয়া হয় উপযুক্ত ব্যবস্থার জন্য। এরপরই বুধবার সরোবরে পুজোর আয়োজন করল দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পুরোহিত প্রতিমা প্যান্ডেল সহ যাবতীয় আয়োজন করে পুজোর আয়োজন করল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পুজোয় বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা আনন্দের সহিত অংশগ্রহণ করলো বুধবার।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুজোর না হওয়ার কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। যথারীতি পুজো না হওয়ার কারণ জানতে এলাকাবাসী লাগাতার আন্দোলন করে। আর সেই আন্দোলনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে এলাকাবাসীকে পুজো করার জন্য জানাই। সেইমতো আজ অর্থাত বুধবার বিদ্যালয়গুলিতে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা আনন্দের সাথে এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেছে। আগামী দিনে এই সমগ্র ভুল যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে এলাকাবাসী।

    গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মথুরাপুর গার্লস জুনিয়র বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নুপুর পাল পূজা না হওয়ার কারণ নিয়ে নানান অজুহাত দেখিয়ে জানান, যেহেতু বিদ্যালয় সম্পূর্ণরূপে এখনো খোলেনি। করোনা পরিস্থিতি ও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবেই পুজো করা ঠিক হবে কিনা সেই ভেবেই পূজা হয়নি। আগামী দিনের দিন তিথি পুজো হবে বলে জানান তিনি।

    অন্যদিকে মথুরাপুর ম্যানেজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আরশাদ সংবাদমাধ্যমকে কিছুই জানাতে নারাজ। তবে দুটি বিদ্যালয় এলাকাবাসীর চাপের সাড়ম্বরে পূজা অনুষ্ঠিত হলো।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments