Today Kolkata:- ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫। গত কালকের তুলনায় আজ কিছুটা হলেও আক্তান্তের সংখ্যা কমেছে। তবে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের। গতকালকের তুলনায় আজ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৪ জন। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামগেড়িয়া গ্রামের। কয়েকদিন ধরেই রামগেড়িয়া গ্রামে বাচ্চা থেকে শুরুকরে বয়স্ক ব্যাক্তি দের বমি, পায়খানা ও পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তী হতে হচ্ছে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে, ইতি মধ্যে বর্তমানে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা ধিন ২৪ জন গ্রামবাসী। ওই গ্রামে দীর্ঘদিন আগেই গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একটি পানীয় জল সংরক্ষণ তথা কংক্রিটের ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছিল, জলি পানীয় জল এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করত গ্রামের মানুষেরা।ডায়রিয়ার প্রকোপে,ডায়রিয়ার প্রকোপে
দীর্ঘদিন ধরে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার না হওয়ার ফলে পানীয় জল থেকে মাঝেমধ্যে কেঁচো বের হত অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা, তাই জল থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ধারণা। প্রাথমিক অনুমান। তবে কি কারণে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। চন্দ্রকোনা হাসপাতালে বিএম ও এইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রির বলেন পানীয়জল থেকে এই ঘটনা। ইতিমধ্যে জলের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে পরিক্ষার জন্য। জলের নমুনা পরীক্ষার পরেই জানা যাবে কিভাবে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। তবে ওই এলাকায় একাধিক মানুষ ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল এ আক্রান্ত হবার পরে রাম বেড়িয়া গ্রাম পরিদর্শনে যান চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ , চন্দ্র কোনা গ্রামীণ হাসপাতাল এর বি এমএইচ ও স্বপ্নীল মিস্ত্রি। ও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরাও। আজ গ্রামে গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলে দ্রুত যাতে একটি নতুন পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বসানো যায় সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডায়রিয়ার প্রকোপে আক্রান্ত ১০০ পার, কিছুটা হলেও আতঙ্ক কমছে চন্দ্রকোনার রামবেড়িয়া গ্রামে।
দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল শালবনি গ্ৰামের বাসিন্দারা।
পাশাপাশি ওই এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত রোগীদের ঔষধ এবং নিজে হাতে ব্লিচিং পাউডার পৌঁছে দিলেন এলাকার মানুষদের মধ্যে। তবে যুদ্ধ কালিন তৎপরতাই ওই এলাকায় অর্থাৎ রামবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। যেখানে আক্রান্ত মানুষেরা তৎপরতা শহীত ওই ক্যাম্পে গিয়ে যাতে ঔষধ পান তার ব্যবস্থাও করা হয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য রয়েছে।