ডুয়ার্সে বৃষ্টি পড়তেই খুশি ক্ষুদ্র চা চাষিরা । কথায় আছে কারো পৌষ মাস তো কারো সর্বনাশ। বছরের প্রথম বৃষ্টিতে কারো মুখে হাসি ফুটিয়েছে আবার কারো মুখ মলিন। আবহাওয়ার খামখেলিতে বহু কৃষক সমস্যায় পড়েছেন আবার বহু কৃষকের উপকার হয়েছে। মার্চ মাস নাগাদ বৃষ্টি হওয়ায় খুশি ক্ষুদ্র চা চাষী থেকে শুরু করে বড় বাগান মালিকরা।
মার্চ মাসে চা পাতার দ্বিতীয় ফ্লাস তোলা হয়। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চা পাতা হেসে খেলে উঠেছে।চায়ের মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে সেচ দিতে শুরু করেন।কিন্তু চা চাষে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি বর্ষণ করা প্রচুর খরচ হয়।তবে এবার বৃষ্টি হওয়ায় আর সেচের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন চা চাষিরা।
ধুপগুড়ি ব্লকের ক্ষুদ্র চা চাষিরা বৃষ্টি হওয়ায় বেজায় খুশি।বিপুল পরিমাণ সেঁচের খরচ বেঁচে যাওয়ায় এবং গাছ তরতাজা হওয়ায় বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকে চাষিরা। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। এতে একদিকে যেমন ভালো ফলন মিলবে। রোগ পোকা থেকেও রেহাই পাবে চা পাতা। শালবাড়ির ক্ষুদ্র চা চাষি স্বপন সরকার বলেন, বৃষ্টির আগে পর্যন্ত অনেকেই বাগানে জল দিয়েছে।
এই বৃষ্টিতে সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। প্রতিবছর এই পরিমাণ বৃষ্টি হয় না। এ বছর বৃষ্টি হওয়ায় চা পাতার উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে বলেই আশাবাদী ওই ক্ষুদ্র চা চাষী। অপরদিকে বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আলু চাষী থেকে শুরু করে ভুট্টা চাষীদের। জলের নিচ থেকে আল ু তোলা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি আলু পচন ধরার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ায় ভুট্টা গাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ভুট্টা চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্লক কৃষি অধিকর্তারা।