দুই ঠিকা সংস্থার মধ্যে টানাপোড়েনে বন্ধ হল হলদিয়া বন্দরের তিনটে বার্থে পণ্য ওঠানামার কাজ। তাতে বন্দর থেকে জাহাজ ফিরে যেতে পারছে না বলে অভিযোগ। এই মুহূর্তে হলদিয়ার বন্দরে দুটি জাহাজ আটকে পড়ে রয়েছে। দ্রুত সমস্যার নিষ্পত্তি না হলে বিপাকে পড়বে হলদিয়া বন্দর। ইতিমধ্যে বন্দরের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সাফ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সমস্যার সমাধান চায় তারা। বন্দর সূত্রে খবর, শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ইএসআইয়ের টাকা জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই ঠিক সংস্থা ও এজেন্টের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। শ্রমিকদের টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার থেকে বন্দরের ৮নম্বর ও ৪বি বার্থে কয়েকশো শ্রমিক কাজে যোগ দেয়নি। ফলে ফিরে যায় সেইলের একটি রেক। ওই রেকে করে সেইলের দুর্গাপুর প্ল্যান্টে কয়লা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, পণ্য ঠিকভাবে না নামানোর ফলে বন্দর থেকে বেরতে পারছে না দুটি জাহাজ। আটকে রয়েছে জাহাজ দুটি। শনিবার সকালেই তাদের বেরনোর কথা ছিল। পাশাপাশি ২ নম্বর বার্থেও কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের পিএফ ও ইএসআইয়ের টাকা জমা করা হচ্ছে না। যে বার্থে জাহাজ অপারেশন ঘিরে এই সমস্যা সেখানে দায়িত্বে রয়েছে রিপ্লে নামে একটি কার্গো হ্যান্ডলিং সংস্থা। ওই সংস্থা বন্দর কর্তৃপক্ষ, আইএনটিটিইউসি, রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছে ইতিমধ্যেই। তারা চিঠি জানিয়েছে, যে ঠিকাদার সংস্থা তাদের সংস্থার হয়ে শ্রমিক সরবরাহ করে, তারা শ্রমিকের পিএফ ও ইএসআই ফান্ডে টাকা জমা দেওয়ার চালান জমা দিচ্ছে না। সেজন্য টাকা বকেয়া রাখা হয়েছে। এনিয়ে দুই সংস্থার মিটিংয়ের পরও জট খোলেনি। বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা প্রদীপ বিজলী জানিয়েছেন, কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ বন্দরে এসছিল। সেখানে ক্রানের সাহায্য কয়লা জাহাজ থেকে খালাস করা হলেও শ্রমিক না আসায় জাহাজ পরিষ্কার করা যায়নি। শনিবার দুটি বার্থে সমস্যা দেখা দিয়ে ছিল। কিন্তু রবিবার আরও একটি বার্থে এমন সমস্যা রয়েছে। তাতে বন্দরের কাজ ব্যহত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, হলদিয়া বন্দরে জাহাজ খুব কম আসে। আর তাতেও যদি এমন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে হলদিয়া বন্দরের মান আরও নিচে নামবে। ফলে সমস্যা দ্রুত মিটিয়ে নেওয়ার জন্য ঠিকাসংস্থার দুটির কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিজলীবাবু।