শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে নারদ মামলার শুনানি ছিল। সিবিআই-র তরফে আইপিসি ৪০৭ ধারায় নারদ মামলা এই রাজ্য থেকে ভিনরাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে এদিন বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও অরিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দেয়। সিবিআই-র (CBI) পক্ষে সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) প্রভাবশালী তত্ত্ব উল্লেখ করে আইপিসি-র ৪০৭ ধারায় নারদ মামলাটি ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করলেও সেটা আদালত খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত সোমবার সকালে নাটকীয় ভাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে সিবিআই । তবে এর আগে সকালেই এই চার জনের বাড়ি ঘিরে ফেলে সিবিআই। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই নিজাম প্যালেসের সামনে চলে আসে অসংখ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সকাল দশটা ৪৭ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসের সিবিআই-র এডিজির ঘরের সামনে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বেআইনি ভাবে এই চার জনকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। এদের গ্রেফতার করলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।’ প্রায় ছয় ঘণ্টা মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে বসে থাকেন।
এই সময় নিজাম প্যালেসের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের এক প্রস্থ সংঘর্ষ হয়ে যায়। এরই মধ্যে তৃণমূল যুব নেতা ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলে।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় এই চার জনের অন্তর্বর্তী জামিন হয়ে যায়। চলতে থাকে এই চার হেভিওয়েট নেতাকে সিবিআই-র হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি। কিন্তু এরই মধ্যে অভিযুক্তদের না জানিয়েই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টে সিবিআই আবেদন করে। সেখানে সিবিআই বলে এই মামলা এই রাজ্যে চালানো যাচ্ছে না। প্রভাবশালী চাপ আছে। তাই এই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ আনা হোক। এবং ৪০৭ ধারায় মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক ভিনরাজ্যে। তবে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে ৪০৭ ধারা অনুযায়ী নারদ মামলা ভিনরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।