Today Kolkata:- নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দুর যোগ রয়েছে দাবি করে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন কুণাল ঘোষ। কেন এখনও শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়নি? সরব কুনাল ঘোষ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ রয়েছে। এই দাবি করে একাধিক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই আদালতে যাওয়ার পথে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের তিন নেতার নাম দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন। সুজন চক্রবর্তী, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেছেন তিনি। পার্থের মন্তব্যের পালটা জবাব দিতে গিয়েই শুভেন্দু বলেন, ‘নারদা ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগ নেই।’
ব্যস, এই মন্তব্যকে নিয়েই আজ, শুক্রবার কড়া ভাষায় টুইট করলেন কুণাল ঘোষ।কুণালের বক্তব্য,নিজে মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করলেও গ্রেফতার নয় কেন? নারদাকাণ্ড নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব ট্যুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।তাঁর দাবি, সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপির জুতো পালিশ করছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতারাই বলতে পারবে না শুভেন্দু সৎ কিনা! এমনকী শুভেন্দুকে রাজনৈতিক বেজন্মা বললেন কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, ‘সিবিআই, ইডি থেকে বাঁচতে শুভেন্দু বিজেপির জুতো পালিশ করছে।কংগ্রেস কর্মীরা ঠিক করুন কর সঙ্গে যাবেন। এখনও আদি বিজেপির আর নব্য বিজেপি এক হতে পড়ছে না, সে আবার জোটের কথা বলছে। বিজেপি নেতারাই বলতে পারবে না শুভেন্দু সৎ কিনা! শুভেন্দু রাজনৈতিক বেজন্মা।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ রয়েছে, এই দাবিতে একাধিকাবার সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই আদালতে যাওয়ার পথে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের তিন নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী ও দিলীপ ঘোষের নাম দুর্নীতিতে যুক্ত করেছেন। এরই প্রত্যুত্তরে শুভেন্দু বলেন, ”এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, আপনারা যা-ই বলুন না কেন, ওই নারদ স্টিং অপারেশন ছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রমাণিত কোনও অভিযোগ নেই।”
এরপরই পালটা টুইট করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ”প্রমাণিত! নিজের মুখেই। তাহলে গ্রেপ্তার নয় কেন?সি বি আই কী করছে? এটা নিরপেক্ষতা? আর সারদা? মালিকের কোর্টে লিখিত বয়ান। তদন্ত হচ্ছে না বলেই তো বড় বড় কথার সুযোগ। সেই ভয়েই তো দলবদলু হয়ে বিজেপিতে। সিবিআই ধরবে না জেনেই এই মেকি বীরত্ব।”