Today Kolkata:- বিয়ের অধিকার পেতে সুপ্রিম কোর্টে সমকামীরা। আজ, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিয়ে সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ ৩৩টি দেশে সমকামী বিয়ে আজ আইনসিদ্ধ হলেও এশিয়ায় শুধুমাত্র তাইওয়ানে এই বিয়ে স্বীকৃত। তাই দেশের গোটা এলজিবিটিকিউ সমাজ এখন রুদ্ধশ্বাসে তাকিয়ে শীর্ষ আদালতের দিকে। কেন? সমকামী অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্তেরা জানাচ্ছেন, সমকামী পরিচয়ের কারণে কী ভাবে হেনস্থা, অপমান, ঘাড়ধাক্কা, বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হতে হয় অনেককে।
ভরা কোভিডের মধ্যে নিজের বিয়ে আটকাতে মালগাড়িতে লুকিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে হাওড়ায় পালিয়ে আসতে হয় কোনও এক সমকামী তরুণীকে। রূপান্তরকামী কোনও কিশোরীর ‘অসুখ’ সারাতে ১৬ বছর বয়সেই বিয়ে দেয় পরিবার। পরিণাম, দিনের পর দিন বৈবাহিক ধর্ষণ।শুধু শহরতলি ও গ্রামাঞ্চল নয়, পিছিয়ে নেই কলকাতার মতো মেট্রো শহরও। পেশায় বিপণন উপদেষ্টা (মার্কেটিং কনসালট্যান্ট) শ্রী ও তাঁর জীবনসঙ্গী সুচন্দ্রা জানাচ্ছেন, প্রতিনিয়ত কী ভাবে হেনস্থা, বাঁকা কথা, ঠাট্টা-বিদ্রুপের শিকার তাঁরা। আজও। এত বছর পরেও সুচন্দ্রার সঙ্গে কথা বন্ধ তাঁর বাবার।
দু’জনে রাস্তা গিয়ে হেঁটে গেলে লোকে ভ্রূ কুঁচকে তাকায়। রেস্তরাঁয় বসে হজম করতে হয় টিটকিরি, চাপা হাসি। সমকামী— এই ‘দোষে’ হাতছাড়া হয় বহু কাজও। তাই বহু ক্ষেত্রে সমকামী অসুখের ‘দাওয়াই’ যে বিয়ে, আইনত বিয়ে করার সেই অধিকারই এ বার হাসিল করতে চান এ দেশের সমকামীরা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৭৭ ধারা প্রত্যাহার করা সুপ্রিম কোর্টের সেই ঐতিহাসিক রায়ে ‘অপরাধ’ তকমা-মুক্ত হয়েছিল সমকামিতা। কিন্তু বাস্তব বলছে, দৈনন্দিন অপমান, হেনস্থা থেকে আজও মুক্তি নেই তাঁদের। গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট দুই সমকামী যুগলের বিয়ের অধিকার সংক্রান্ত মামলা সম্পর্কে অবহিত হয়।
বিয়ের অধিকার পেতে সুপ্রিম কোর্টে সমকামীরা।
আরও পড়ুন – গরুর যত্ন নিলে গরুও মানুষের খেয়াল রাখবে, শ্রীকৃষ্ণের বাণী স্মরণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
সমকামী বিয়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরূপ মনোভাব, বিজেপি সাংসদের সাম্প্রতিক তির্যক মন্তব্য, ধর্মীয় নেতাদের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও শীর্ষ আদালত এ নিয়ে শুনানি শুরুর কথা জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুনন্দ রাহা বলছেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের রায়ে এ দেশে সমকামীরা বিয়ে করলেও তা আর অপরাধ বলে গণ্য হয় না। তবে এই বিয়েকে আইনসিদ্ধ করতে হলে বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় আবেদন করা হলে ভাল, তাতে মান্যতা দেওয়ার পদ্ধতি সহজ হতে পারে। শীর্ষ আদালত মান্যতা দিলে এর পরে সরকারকে সংসদে আইন সংশোধন করতে হবে।’’ CONTINUE READING