সবার প্রিয় অভিনেতা ইরফান খানের পরপারে চার বছর পূর্ণ হল। আজকে ইরফান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। যিনি অনুরাগীদের জন্য তার স্মৃতির খাতায় রেখে গিয়েছেন অসংখ্য চলচ্চিত্র যেমন- ‘পান সিং তোমার’,’ লাইফ অফ পাই’,’ পিকু ‘,’লাঞ্চ বক্স’, ‘হিন্দি মিডিয়াম’,’ তলোয়ার’, ‘ডুব’এর মত উল্লেখযোগ্য ছবি। আজিজ খান এর মৃত্যু দিবস বলেই স্মৃতিচারণায় তাকে নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে তা নয়। ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে কোন একটি বিশেষ দিনে কোন কিছু বলা যায় না তাকে সারা জীবনই মনে রাখা যায়। সেরকমই একটি মনে রাখার মত কথা হলো ইরফান খান কেবলমাত্র একজন অভিনেতা ছিলেন না, তিনি ক্রিকেট খেলা তো সমান পারদর্শী ছিলেন যে বিষয়টা হয়তো অনেকেরই জানা নয়।
ইরফান খান সেই সময় অভিনেতা ইরফান খান হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেননি। তিনি চেয়েছিলেন ক্রিকেট নিয়ে কিছু করতে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে মাত্র ২০০ টাকার অভাবে তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৭ সালে তার একটি সাক্ষাৎকার থেকে এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যায়। সেই সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় যে ইরফান খান ছিলেন অলরাউন্ডার। তবে বোলিং এর প্রতি তার আকর্ষণ ছিল বেশি। জীবনে ক্রিকেট নিয়ে তিনি এগোতে চেয়েছিলেন কিন্তু অর্থের অভাবে তার সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করতে পারেননি। পরবর্তী ক্ষেত্রে অভিনেতা হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেও ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা কখনোই কমেনি। তাই শুটিংয়ের ফাঁকে সুযোগ হলেই তিনি তার সহকর্মীদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন।
অভিনেতা হওয়ার আগে তিনি কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফিতে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তার প্রতিভার জন্য। বাড়িতে না জানিয়ে তাকে ক্রিকেট খেলতে যেতে হতো। এবং তাকে জয়পুর থেকে আজমেঢ় যেতে হতো ক্রিকেট খেলতেন সেই কারণে তার ২০০ থেকে ২৫০ টাকা লাগতো। আর তখন তার পক্ষে সেই টাকার যোগাড় করা সম্ভব করছিল না বলে তিনি ক্রিকেটে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে পারেননি। কপিল দেব শচীন টেন্ডুলকারের ভক্ত হলেও তার কাছে ডেভিড ব্যকহাম ছিলেন সব থেকে বড় স্পোর্টসম্যান। অধিনায়ক হিসেবে ধোনি ছিল তার বড় পছন্দের। এত বড় একজন নক্ষত্র হঠাৎই ২০২০ সালের ২৯ শে এপ্রিল আমাদের সবাইকে ছেড়ে পরলোকে যাত্রা করেন যা আমাদের সবার কাছে তথা বিশ্বের কাছে এক অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।