মহালয়ার আর বেশিদিন নেই। ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে আর কিছু দিন পরেই। বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই দুর্গাপুজোর আগে বিজয় উৎসবের আনন্দ ঘাসফুল শিবিরে। ভবানীপুর উপনির্বাচনের জয়ী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে পরাজিত করেছেন মমতা। তৃণমূল শিবিরের অভ্যন্তরীন রিপোর্টেও জানানো হয়েছিল এবার ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়ে গোটা দেশকে বার্তা দেবেন মমতা। তবে তৃণমূলের সেই অঙ্ককেও ছাপিয়ে গেল এদিনের বিজয়। তবে এবার ২১শের মহারণে জয়ী হওয়ার পরেই লক্ষ্য় স্থির করে নিয়েছিল তৃণমূল শিবির।
জাতীয় রাজনীতিতে মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল। এদিনের ভোটে জিতেও কার্যত সেই বার্তাই দিলেন মমতা। আর পুজোর মুখে তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল কলকাতার রাস্তায়। ‘মোদীশাহসুরমর্দিনী’ লেখা ব্য়ানার টাঙানো হল কলকাতার রাস্তায়। সৌজন্যে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস।
নীলরঙের ব্যানার। তাতে লেখা ‘মোদীশাহসুরমর্দিনী’। ওপরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি। ব্যানারের একদিকে জোড়াফুলের প্রতীক। এতদিন ‘মহিষাসুরমর্দিনীকে’ বন্দনা করে অভ্যস্ত আমবাঙালি। আর এই ব্যানারের মাধ্যমে কার্যত বুঝিয়ে দেওয়া হল মোদী ও অমিত শাহের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে কতটা বদ্ধপরিকর তৃণমূল শিবির। তবে এবার শুধু ব্যানার কিংবা হোর্ডিংই নয়, মমতার মুখের আদলে দেবী মুর্তিও গড়া হয়েছে কলকাতায়। অস্ত্রের বদলে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নকে হাতিয়ার হিসাবে দেখানো হয়েছে সেই মূর্তিতে। সব মিলিয়ে জাতীয় ক্ষেত্রে মোদী ও শাহের টিমকে কোণঠাসা করতে সব রকমভাবে তৈরি তৃণমূল শিবির।