যে বিনয় মিশ্রকে গরু–কয়লাকাণ্ডের জেরে সিবিআই হন্যে হয়ে খুঁজছে, এবার তিনিই আইনি নোটিশ পাঠিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আইনি নোটিশ আবার যাকে–তাকে নয়, খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পাঠিয়েছেন তিনি। আর তাতেই সরগরম হয়ে উঠেছে শুভেন্দু–বিনয় দ্বৈরথ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ফেরার যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বিনয় মিশ্র আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে।
কেন আইনি নোটিশ পাঠালেন তিনি? গত ১১ জুন শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেন, ২০১৮ সালে বিনয় মিশ্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর ২০২০ সালে তাঁকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন, কোনও বিদেশি নাগরিক কি ভারতের কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারেন? এই কথাগুলি টুইট করেছিলেন তিনি। তাতে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার এই ট্যুইট প্রেক্ষিতেই বিজেপি বিধায়ককে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিনয় মিশ্র। তাঁর দাবি, ট্যুইটে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। আবার লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে পাঠানো হয়েছেন নোটিশের কপি। এমনকী শুভেন্দুর টুইটটি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে মুছে দিতে বলা হয়েছে। আর এই নোটিশ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এই বিনয় মিশ্র গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচার কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। বিনয় মিশ্র কোথায়? এখন এই প্রশ্নটিও বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তাহলে কী শুভেন্দু অধিকারীর দাবি সঠিক? দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে নীল জলে ঘেরা স্বর্গের মতো সাজানো দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। সত্যিই কী সেখানে রয়েছেন বিনয়? সিবিআই সূত্রে খবর, ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর পাসপোর্ট জমা করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু কেন? সেই আবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেওয়ায় ভারতীয় পাসপোর্ট ছাড়তে চান। সেই আবেদনপত্রে বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বরও দেওয়া রয়েছে। কিন্তু এবার তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন যার জবাব দিতে হবে বিরোধী দলনেতাকে।