স্টার জলসায় শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’।সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এই ধারাবাহিকে নেই তথাকথিত কূটকাচালি, নেই শাশুড়ি বউমার ঝগড়া ঝাটি। দুই কিশোর-কিশোরীর দস্যিপনায় মোড়া এই ধারাবাহিকে রয়েছে শুধুই হাস্যরসের সম্ভার।
দর্শকরা নিখুঁত বিনোদনের অপেক্ষায় ছিলেন, তা এবার পূরণ হতে চলেছে। দুই কিশোর-কিশোরীর দস্যিপনায় মোড়া ভালোবাসার এই ধারাবাহিকে ব্রিটিশ শাসনকালের আমলের গল্প দেখানো হচ্ছে। যা বর্তমান সমাজের প্যাঁচালো গল্প আর পরকীয়ার থেকে একেবারেই আলাদা।
এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, তখনকার দিনে রায়বাহাদুর উপাধি পাওয়ার জন্য বহু জমিদার যারা ইংরেজদের তাবেদারি করতেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন কমলা অর্থাৎ নায়িকার বাবা। কিন্তু অন্যদিকে নায়ক অর্থাৎ মানিকের বাবা হলেন সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের একজন মানুষ।
গুরুদেবের কথামতন কমলা ও মানিকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কমলার বাপের বাড়ি ছিল অন্য ধরনের সাহেবদের মতন সবকিছু সময় মাফিক। আর সে এখনো অনেকটাই ছোট বাচ্চা তাই সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে পারিনি বলে অনেক কথা তার পিসি শাশুড়িরা শোনালো।
মানিকের বাড়িতে সমস্ত ছেলেদের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মেয়েরা খেতে বসতে পারেনা।কিন্তু কমলার বাড়িতে এমনটা হতো না তাই তার খুবই খিদে পেয়েছিল। তখন ফুল পিসি তাকে জব্দ করার জন্য খাবার বেড়ে দেয় এবং বলে খেয়ে নিতে। সবাই তার থালা নিয়ে খেতে বসা দেখে তো হা হয়ে যায়। আর তখনই মুখে ভাত তুলতেই তার শাশুড়ি হাত চেপে ধরে।