Today Kolkata:- সরকারি অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া নিয়ে এবার বিজেপির অন্দরেই প্রবল দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে মতভেদ প্রকাশ্যে চলে এল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরকারি অনুষ্ঠানে এই স্লোগানের পাশে দাঁড়ালেও তাঁর দলের অনেকেই এই আচরণকে সমর্থন করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির আর এক সাংসদ ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, রেলের অনুষ্ঠান। সরকারি মঞ্চ। সেখানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান বলার উপযুক্ত জায়গা নয়। বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায় , ”আমরা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে থাকি। কিন্তু কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে সেটা দেওয়াটা ঠিক নয়। ভারত মাতার জয় বলা যেতে পারেই। তাতে কোনও আপত্তি ছিল না। শুভেন্দু অধিকারীরও উচিত হয়নি কোনও সরকারি অনুষ্ঠানের শেষে সেখানে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে অসম্মানজনক কথা বলা। এসব ঘটনায় দলেরই মুখ পুড়ছে।”
সরকারি অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান কেন ? বিজেপির অন্দরেই শুরু প্রবল দ্বন্দ্ব।
ক্রমশ কমছে সম্পত্তির পরিমাণ, ‘ফতুর’ হওয়ার আশঙ্কায় টেসলা-টুইটারের মালিক এলন মাস্ক।
ঘটনার জেরে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চেই উঠলেন না। মূলত ২৩ নম্বর প্লাটফর্মের দিক থেকে স্লোগান আসতে থাকে। মঞ্চের পাশে একটি চেয়ারে বসে রইলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল । মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘প্রতিবাদ’ নিয়েই এদিন তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়াকে সমর্থন করে সরকারি অনুষ্ঠানস্থলে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘এরকম ঘটনা আরও হবে। যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন ভুগতে হবে।’’ শুভেন্দুর দাবি, তাঁর সঙ্গে নাকি এক মঞ্চে বসতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। তাই এটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মান করে আরও নানা কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।
বিরোধী দলনেতাকে জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল । দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রামের নাম করে অসৌজন্যতা, অসভ্যতা। বিরোধী দলনেতা যে বক্তব্য রেখেছেন তা অত্যন্ত কুরুচিকর ও নিম্নমানের। উনি আদৌ বিধায়ক কি না তা আদালতের বিচারাধীন। মুখ্যমন্ত্রীকে বিরোধী দলনেতা আপনি নয়, তুমি বলে সম্বোধন করেছেন। যে সারাক্ষণ এরকম আমিত্ব করে যায়, তিনি বানর সেনার ডিফেক্টিভ বাঁদর।’’