রাজ্যের দুই মন্ত্রী, পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতি ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাবের পরিচালনায় সাড়ম্বরে পালিত হল ঝাড়গ্রাম মহকুমার শতবর্ষ!
সাড়ম্বরে পালিত হল ঝাড়গ্রাম মহকুমার শতবর্ষ!
ঝাড়গ্রাম :- ঝাড়গ্রাম মহকুমার শতবর্ষ পালন হল সাড়ম্বরে। ঘড়ির কাটাতে রাত ১২টা বাজতেই ঝাড়গ্রাম শহরের প্রশাসনিক ভবন গুলিতে জ্বলে উঠল বাহারি আলো। শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড়ে আতসবাজি ফাটিয়ে শতবর্ষ উদযাপনের সূচনা করেন ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারপার্সন কবিতা ঘোষ, ভাইস-চেয়ারপার্সন কল্লোল তপাদার প্রমুখ। এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাবের উদ্যোগে পুকুরিয়া ফুটবল ময়দান থেকে মহকুমা শাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ৬ কিমি দৌড় প্রতিযোগিতায় ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন। দৌড় প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছিলেন স্বয়ং মহকুমা শাসক এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা।
Read more:- রাষ্ট্রপতির দেওয়া “প্রশংসনীয় পদক” পেতে চলেছেন 2পুলিশকর্মী
দৌড় প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয় শহরের রঘুনাথপুরে অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে। ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে ২০২২ সালে পদ্মশ্রী প্রাপক কালীপদ সোরেনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বৃহৎ আকৃতির কেক কাটেন বন প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাসরা। দৌড় প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারিদের পাশাপাশি প্রত্যেক প্রতিযোগীকে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষরা। ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে শতবর্ষ স্মারক বক্তৃতা দেন ঝাড়গ্রামের প্রবীণ গবেষক মধুপ দে।
ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো বলেন,‘১৯২২ সালের ১ ফ্রেবুয়ারি ক্যালকাটা গেজেট অনুযায়ী অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার মধ্যে ঝাড়গ্রাম মহকুমা গঠন হয়। তখন ঝাড়গ্রাম, বিনপুর, গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম থানা নিয়ে মহকুমা গঠিত হয়েছিল। মহকুমার শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে স্মারক বক্তৃতা ও পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। ঝাড়গ্রাম রিপোটার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে ৬ কিমি দৌড় প্রতিযোগীতায় শতবর্ষের স্মারক হিসেবে একশো জন অংশ নিয়েছিলেন।’