More
    Homeরাজ্যহাই কোর্টে বলল এসএসসি, ব্যাখ্যা দিল সোমবারের বিজ্ঞপ্তিরও

    হাই কোর্টে বলল এসএসসি, ব্যাখ্যা দিল সোমবারের বিজ্ঞপ্তিরও

    সোমবারের রাতে ৬১৮ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করেই দেওয়া হয়েছিল সেই বিজ্ঞপ্তি। যা নিয়ে গেল গেল রব উঠেছিল নবম-দশমের অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে। এমনকি, এসএসসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টেও গিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার এসএসসি জানাল, ওই বিজ্ঞপ্তির অর্থ কী এবং তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী হতে চলেছে। নবম-দশমে নিয়োগের পরীক্ষায় ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

    Nandini Chakraborty রাজ্যপাল দিল্লিতে, নন্দিনী কোথায়? দিনভর জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে।

    এ ব্যাপারে এসএসসিকেই নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন তিনি। আদালতে বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষকেরা। ডিভিশন বেঞ্চ সেই বক্তব্য শোনে। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশে কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও রায়দান স্থগিত রাখেন। এর পর সোমবারের রাতেই অভিযুক্ত ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জন শিক্ষকের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দেয় এসএসসি। বুধবার তারা আদালতে জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের সুপারিশপত্র বাতিল হয়ে যায়নি। সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

     

    ফলে এখনই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ওই শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করতে পারবে না। এসএসসির ওই বিজ্ঞপ্তির পর এই নিয়েই আতঙ্ক ছড়িয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে। আদালতে তাঁরা পাল্টা আবেদন করে জানতে চেয়েছিলেন, ডিভিশন বেঞ্চ যেখানে একক বেঞ্চের নির্দেশ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে। সেখানে একক বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারে সুপারিশপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল কী করে? বুধবার সেই আবেদনের শুনানিতেই আদালতকে ওই জবাব দেয় এসএসসি। সুপারিশ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানানোর পাশাপাশি তারা বলে, পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের অপেক্ষাই করবে। তার আগে নিয়োগ পত্র বাতিল আপাতত হচ্ছে না নবম-দশম শ্রেণির ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকদের। এসএসসি এর আগে জানিয়ে ছিল এই ওএমআর শিট কারচুপিতে যে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্টের একক বেঞ্চ, তার প্রক্রিয়া কয়েক দফায় শেষ হবে।

     

    প্রথম দফায় ওই ৬১৮ জনের নামের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এসএসসি বলে, এঁদের অনেকেই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। অনেকে দুই বা তিন পেয়েছেন। আপাতত এঁদের নাম প্রকাশ করলেও, পরে আরও অযোগ্য প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে। এসএসসির সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তোলেন ওই ৬১৮ শিক্ষক। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন ওই ৬১৮ জন শিক্ষক। এ বিষয়ে অতিরিক্ত হলফনামাও জমা দিতে চেয়েছিলেন। ওই শিক্ষকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল বুধবার তাঁরা মামলাটি শুনবে।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments