সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ কে গো হারান হারালো চেন্নাই সুপার কিংস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বড় জয় পেল চেন্নাই সুপার কিংস। গুনে গুনে ৭ উইকেটে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ হারলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলের কাছে।
পরবর্তীতে চেন্নাই সুপার কিংস দলের গন্তব্য কলকাতা। খুব শীঘ্রই কোলকাতার ইডেন গার্ডেন এর ময়দানে আসছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে মাঠের মাঝে হারিয়ে আনন্দে মেতেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটাররা।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ধোনি। প্রথমে হ্যারি ব্রুক ও অভিষেক শর্মা শুরুটা ভাল করছিলেন। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। চেন্নাইকে প্রথমে খেলায় ফেরান আকাশ সিংহ। ১৮ রানের মাথায় ব্রুককে আউট করেন তিনি।
তারপরেই নিজের শক্তি বুদ্ধি প্রয়োগ করলেন ধোনি। তারপরেই একেবারে নিঃস্ব হায়দরাবাদ।
বাকিদের পারফরম্য়ান্সের চেয়ে এখনও আকর্ষণের কেন্দ্রে তাঁর নেতৃত্বই। বোলিং চেঞ্জ থেকে নতুনদের সামলানো। বাকিদের কাছেও শেখার মতো বিষয় হয়ে থাকে। এই ম্যাচেও তাঁর বোলিং পরিবর্তন নজর কাড়ল। যার কারণে পিছিয়ে গেলো সানরাইজার্স ব্য়াটিং আক্রমণও। বল নতুন থাকা অবধি যাও বা কিছুটা রান তুলতে পারল সানরাইজার্স, এরপরই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। সিএসকে বোলিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন জাড্ডু। সানরাইজার্স শিবিরে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন বাঁ হাতি পেসার আকাশ সিং। হ্যারি ব্রুককে ফেরান আকাশ। এরপরই স্পিনারদের দাপট। জাডেজার ৩ উইকেট ছাড়াও মহেশ থিকসানার ঝুলিতে এক উইকেট। পেসাররা স্লোয়ার ডেলিভারির ব্য়বহার খুব ভালো করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে সানরাইজার্স।
অভিষেক শর্মা ও রাহুল ত্রিপাঠি শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারলেন না। অভিষেক ৩৪ ও ত্রিপাঠি ২১ রান করে আউট হলেন। বাকি ব্যাটাররাও রান পেলেন না। মাঝ ওভারে তিন স্পিনারকে কাজে লাগালেন ধোনি। মাহেশ থিকশানা, রবীন্দ্র জাডেজা ও মইন আলি সমস্যায় ফেললেন ব্যাটারদের। চিপকের উইকেটে বল ঘুরল। তার ফলে হাত খুলে খেলতে পারলেন না হায়দরাবাদের ব্যাটাররা।