Today Kolkata:- নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Shil) বিরুদ্ধে এবার নতুন অভিযোগ। এবার বৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকেও টাকা চাওয়া এবং টাকা না পেয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার অভিযোগ উঠল ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হওয়া অয়নের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত , তাঁর বিরুদ্ধে আগেই অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল।
চুঁচুড়া ষণ্ডেশ্বরতলার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্য (Chayanika Addhya) । ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় পুরসভায় (Titagarh Municipality) চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেন চয়নিকা। জাতীয় স্তরের যোগাসন চ্যাম্পিয়ন, ভাল অ্যাথলিট বলে পরিচিত চয়নিকা খেলোয়াড় কোটায় ওই চাকরির পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারভিউয়ে ডাক পেয়েছিলেন। চয়নিকার (Chayanika Addhya) দাবি মোতাবেক, ইন্টারভিউয়ের পর চাকরিও হয়ে যায় তাঁর। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর তাঁকে জয়েনিং লেটার দেওয়া হয় পুরসভার তরফে। চয়নিকার (Chayanika Addhya) বয়ান অনুযায়ী, এর পরেই শুরু হয় অন্য ‘নাটক’।
চয়নিকা (Chayanika Addhya) জানান, এক পুলিশ কর্মী এক দিন তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানান, অয়ন শীলের অফিসে গিয়ে দেখা করতে হবে। চাকরির ব্যাপারে কথা আছে। চয়নিকা তাঁর বাবাকে নিয়ে চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ায় অয়ন শীলের (Ayan Shil) অফিসে গিয়ে দেখা করেন। অয়ন তাঁদের বলেন, “চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।” চয়নিকা তখন জানান, তিনি নিজের যোগ্যতায় এই চাকরি পেয়েছেন। প্রশ্ন তোলেন যে, অয়নের ক্যান্ডিডেট যখন তিনি নন, তা হলে কেন তাঁকে টাকা দিতে হবে ? আর অত টাকা তার কাছে নেই বলেও জানান চয়নিকা (Chayanika Addhya)। তার পরেও অবশ্য হাল ছাড়েননি অয়ন (Ayan Shil) ।
Ayan Shil বৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকেও টাকা চাওয়ার অভিযোগ শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের বিরুদ্ধে।
Rinku Singh চরম দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই , ঝাড়ুদার রিঙ্কু সিং আজ নাইটদের অন্যতম ভরসা।
চয়নিকার (Chayanika Addhya) কথায়, “সে দিন ফিরে আসার পর অয়ন শীলের (Ayan Shil) লোক আমার সঙ্গে আবার যোগাযোগ করে এবং সল্টলেকের অফিসে যেতে বলে। সল্টলেকের অফিসে বাবাকে নিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও দেখা না পেয়ে ফিরে আসি। পরে জানতে পারি প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অয়নের (Ayan Shil) বিরুদ্ধে।”
চয়নিকা (Chayanika Addhya) এও জানান যে , নিয়োগ তালিকায় তাঁর ২২০ নম্বরে নাম ছিল। অভিযোগ, রাতারাতি সেই তালিকা পরিবর্তন করে যাঁদের নাম ছিল না, তাঁদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। চয়নিকার সন্দেহ, যাঁরা টাকা দিতে পেরেছিলেন, তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। চয়নিকার (Chayanika Addhya) মতো যাঁরা নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই সময় বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে সমস্যা চলছিল তাঁর। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা, তাই একটা চাকরির খুব প্রয়োজন ছিল।
হাল না ছেড়ে টিটাগড় পুরসভায় গিয়ে কথা বলেন চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তাঁকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। বেতনের জন্য স্থানীয় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালান্সে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে এটিএম কার্ড সব করে দেওয়া হয়েছিল। পুরসভার চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে ছ’দিন কাজও করেন তিনি। তার পর হঠাৎই তাঁকে বার করে দেওয়া হয় পুরসভা থেকে। অয়নের (Ayan Shil) সংস্থা পানিহাটি সহ বেশ কয়েকটি পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল। ইতিমধ্যেই তার অফিস থেকে ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্র উদ্ধার করেছেন।