মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর চক্রান্ত তত্ত্বকে মনে করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নন্দীগ্রামের মানুষের ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে এদিন কাঁথির সভা থেকে তিনি বলেন, ‘বাংলার লোক দিদির খেলা বুঝে গিয়েছে। দিদি নন্দীগ্রামের মানুষের ওপরে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছেন। নন্দীগ্রামের লোক দিদির কাছে জবাব চাইছে।’ কয়েক দিন আগে নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে ধাক্কাধাক্কির মাঝে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ তোলেন, চক্রান্ত করে ফেলে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পরে আবার বলেন, গাড়িটা পায়ের ওপরে চেপে যায়। এসবের পরে দু’দিন হাসপাতালে কাটিয়ে ব্যান্ডেজ করা পা নিয়েই হুইলচেয়ারে বসে প্রচার করছেন মমতা। কিন্তু সেদিন তাঁর চক্রান্তের অভিযোগ অনেকেই ভাল চোখে নেননি। আজ কাঁথির জনসভায় সেকথাই অন্যভাবে বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করেছেন মমতা। মোদী অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর চোট নিয়ে কোনও কথা বলেননি এদিন।
নির্বাচনের দামামা বাজার পর থেকেই নন্দীগ্রাম রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে গিয়ে জনসভায় আচমকা বলেন, ‘আচ্ছা, আমি যদি নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হই তবে কেমন হয়!’ সেটাই ঘটে। মুখ্যমন্ত্রীই নন্দীগ্রামের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান শুভেন্দুর বিপরীতে। এই নন্দীগ্রামকেই বারবার ভোট প্রচারের অস্ত্রও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তাঁর নিজের অবদানের কথা বারবার বলেছেন নানা প্রচারমঞ্চে। সেই নন্দীগ্রামেই তাঁর পায়ে চোট লাগে এবং স্থানীয়দের বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তের’ অভিযোগ তোলেন তিনি।সে কথা প্রসঙ্গেই আজ কাঁথির সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”নন্দীগ্রামের বদনাম করার জন্য দিদি একটার পর একটা মিথ্যে কথা বলে চলেছেন। দিদি, নন্দীগ্রাম আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেই নন্দীগ্রামের মানুষেরই বদনাম করছেন? পুরো দেশের কাছে তাঁদের অপমান করছেন? নন্দীগ্রামের আত্মসম্মানী মানুষ এর জবাব দেবেন।” এদিন তিনি আরও বলেন, ‘দিদির সরকার অন্ধকার দিয়েছে। বিজেপির সরকার সোনার বাংলা দেবে। বার বার বিজেপি সরকার।