প্রায় দু’ঘন্টা বয়ালের ৭ নং বুথে আটকে থাকার পর বের হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের কাছে খবর পেয়ে দুপুরেই বয়ালের ওই বুথে যান মমতা। সেই বুথে বিজেপির তরফে ব্যাপক হারে ছাপ্পা ও এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের তরফে। আর সেই কারণেই ওই বুথে যান মমতা। তারপরেই ওই বুথের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মুখোমুখি অশান্তির জেরে পরিস্থিতি উতপ্ত হয়ে ওঠে। আর তার জেরেই ওই বুথের ভিতরেই দু’ঘন্টা আটকে থাকার পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রন করে মমতাকে বুথের বাইরে বের করেন।
বয়ালের ৭ ও ৬ নম্বর বুথে অবাধ ছাপ্পা মারা ও তৃণমূলের এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রার্থী হিসেবে বুথ পরিদর্শনে যান মমতা। আর তারপরেই ওই বুথের বাইরে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি মারমুখি জনতা এগিয়ে যান। জানা যায় ওই মারমুখি জনস্রোত বিজেপি কর্মীদের। যার সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। আর এই অশান্তি যখন চলছে তখন বুথের মধ্যেই রয়েছেন মমতা। অভিযোগ, ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। পরবর্তীতে ঘটনা উতপ্ত হওয়ায় ওই ৭ নম্বর বুথে হাজির হয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, বুথে ছাপ্পা মারা হয়েছে। ৬৩ টি অভিযোগ গিয়েছে কমিশনের কাছে, কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তাঁরা।
কমিশনের এই ভুমিকা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয়।