এবার হামলার মুখে পড়তে হল বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারকে। তাঁর গাড়ির কাচ আধলা ইট, পাথরের ঘায়ে চুরমার হয়ে গিয়েছে। গোটা ঘটনায় সাংসদ অভিযোগ করেছেন তৃনমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নন। শুক্রবার দুপুরে বাঁকুড়া শহর থেকে বাঁকুড়া সদর থানার পাতালখুরি গ্রামে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প সংক্রান্ত একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। তাঁর গাড়ি স্থানীয় নন্দীগ্রামে পেরিয়ে আমবাগান এলাকায় পৌঁছতেই ইটপাথর পড়তে শুরু করে। সাংসদ জানিয়েছেন কয়েক জন মিলে ইট ছুড়েই ওই জায়গা থেকে পালিয়ে যায়। চুরমার হয়ে গিয়েছে সাংসদের গাড়ির পিছনের কাচ। যদিও গাড়ির মধ্যে থাকা সাংসদ বা তাঁর দেহরক্ষীর গায়ে কোনও আঘাত লাগেনি। এরপর ওই জায়গাতেই গাড়ি থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন সুভাষবাবু। খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। পরে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সুভাষ সরকার বলেন, ‘রাজ্যজুড়ে যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তারই অংশ হচ্ছে এই হামলা। তৃণমূল ভাবছে আমার উপর হামলা করে বাঁকুড়ার বিজেপির নেতা কর্মীদের ভয় পাওয়াবে। এমনিতে বাংলায় বিজেপি নেতাদের গাড়িতে হামলার ঘটনা নতুন নয়। ভোটের কয়েক মাস আগে ডায়মন্ড হারবারে যাওয়ার সময় বিজেপি সভাপতি জগত্প্রকাশ নাড্ডার কনভয়ে হামলার বীভত্স স্মৃতি এখনও টাটকা। তারপর ভোটের ফল ঘোষণার তিন পাঁচ দিনের মাথায় মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরনের কনভয়ের ঘটনাও দেখা গিয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সুভাষ সরকারের নাম।