দাঁড়িয়ে রইল রবীন্দ্রনাথের স্ট্যাচু। উপড়ে ফেলা হল তালতলার রবীন্দ্র মূর্তির নীচে খোদাই করা ফলক। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জন দেবের নাম ছিল সেই ফলকে। শুধু তো দেবাঞ্জন নয়। ওই ফলকে উপর থেকে নাম ছিল উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী তথা চৌরঙ্গির বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের। এদিন সকাল থেকেই তালতলার এই মূর্তি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। দুপুরের পর দেখা যায় কালো ফলকের উপর খোদাই করা দেবাঞ্জনের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। কিতু তাতেও আবছা বোঝা যাচ্ছিল। শেষপর্যন্ত ফলকটাই সমূলে তুলে ফেলা হয়। এ নিয়ে বিজেপি অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছে। রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেলের অন্যতম মুখ সপ্তর্ষি চৌধুরী বলেছেন, ‘ভেঙে ফেলা হল তালতলায় রবীন্দ্রনাথের মূর্তি উন্মোচনের ফলক। স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, মেয়র জনাব ফিরাদ হাকিম সাহেবদের সাথে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারির নায়কের। এই ফলক ভাঙার অর্থ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা। ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসছে??’ এ নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে রাজ্য বিজেপির আর এক মুখপাত্র ঠাট্টা করে বলেন, ‘কবিগুরুর মূর্তিটা ভেঙে ফেলেনি এই তাঁর ভাগ্য!’ কাল থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল ভ্যাকসিন কেলেঙ্কারি বাংলার নয়া রাজনৈতিক ইস্যু হতে চলেছে। এদিন হলও তাই। এক দিকে দিলীপ ঘোষ সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন, অন্য দিকে দলবল নিয়ে কাউকে কিছু না বলে স্বাস্থ্য ভবনে হানা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, জনস্বার্থ মামলা হয়ে গেল হাইকোর্টে—সব মিলিয়ে বাংলার রাজনীতি এখন ভুয়ো ভ্যাকসিনময়।