Today Kolkata:- শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট , রয়েছে লোকসভা। এই অবস্থায় বাজেট (২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ) বিভিন্ন সামাজিক ও অনুদান প্রকল্পের বরাদ্দে যে কাটছাঁটের সম্ভাবনা কার্যত নেই। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সর্বশ্রেণির মানুষের জন্য যতটা সম্ভব এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছে সরকার। আর্থিক অসুবিধা ও কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও প্রত্যেকের কথা ভেবে এই বাজেট করা হয়েছে।’’ চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘রাজ্যকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র। সামাজিক খাতে কেন্দ্র বরাদ্দ কমিয়েছে, আমরা বাড়িয়েছি।’’ তবে অর্থনীতিবিদ তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর (Ashok Lahiri) প্রতিক্রিয়া, ‘‘বাজেট দেখে মনে হচ্ছে, এই সরকার শুধু ঘোষণারই সরকার। ’’তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েই লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
অনেকেই মনে করেন, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তা চালু করার ঘোষণা রাজনৈতিক সুবিধা দিয়েছে তৃণমূলকে (Trinamool Congress)। সেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিধি বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উপভোক্তার বয়স ৬০ বছর পেরোলেও প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে বার্ধক্য ভাতা মিলবে। প্রকল্পের জন্য গত বারের তুলনায় ১২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ বেড়েছে। সঙ্গে ‘ভবিষ্যৎ ঋণ কার্ড’, মৎস্যজীবীদের জন্য মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদি প্রকল্প। সম্ভবত পঞ্চায়েত ভোট মাথায় রেখেই ৩০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ১১,৫০০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক খাতে।
Ashok Lahiri ‘বাজেট দেখে মনে হচ্ছে, এই সরকার শুধু ঘোষণারই সরকার’ মন্তব্য বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর।
Sasthya Sathi ২৫০০ কোটির বদলে বরাদ্দ ২৫১০ কোটি, স্বাস্থ্যসাথীতে ১০ কোটি বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন।
সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রাস্তার এই বেহাল দশা নিয়েই সব থেকে বেশি কথা শুনেছেন ‘দিদির দূতেরা’। মোটা টাকা তুলে রাখতে হচ্ছে ঋণ শোধের জন্য। অথচ অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandima Bhattacharjya) কার্যত মেনে নিয়েছেন যে, আয়ের উৎস সীমিত। বাজেট নথি থেকে স্পষ্ট, রাজকোষ ঘাটতি কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সীমার উপরেই থাকছে (৩.৮৩%)। বাড়ছে ঋণের পরিমাণও।
নিয়োগ, আবাস সহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দানা বেঁধেছে ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে বাজেট পেশের পরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বলেন, ‘‘সর্বশ্রেণির মানুষের জন্য যতটা সম্ভব এগিয়ে আসার চেষ্টা করেছে সরকার। আর্থিক অসুবিধা ও কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও প্রত্যেকের কথা ভেবে এই বাজেট করা হয়েছে।’’ বাজেটের পরে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থ দফতরের প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র (Amit Mitra) জানান, মোট ব্যয়ের প্রায় ৬০% সামাজিক খাতে বরাদ্দ করছে রাজ্য। লক্ষ্মীর ভান্ডার ছাড়াও কৃষকবন্ধু, জয় বাংলা পেনশন, ঐক্যশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়েছে। পরিকাঠামো খাতে তা বেড়েছে প্রায় ৮%।