Today Kolkata:- আগামী বছর শুরুতেই মেঘালয় বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে অংশ নেবে বাংলার শাসকদল। তাই মেঘালয়কে পাখির চোখ করে আজ, সোমবার তিনদিনের সফরে মেঘালয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথমবার ভিনরাজ্যের রাজনৈতিক সফরে তাঁর সঙ্গী অভিষেক। মেঘালয়ে একগুচ্ছ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সফরে তাঁদের সঙ্গে থাকবেন মেঘালয়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার মেঘালয়ের শিলংয়ে কর্মীসভা করবেন মমতা ও অভিষেক। শিলংয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ঘাঁটি মজবুত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগদান করেছে। মেঘালয় বিধানসভায় এখন প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলই। মেঘালয়বাসীর বিশ্বাস অর্জন করতে সম্প্রতি অভিষেক জানিয়েছিলেন, “দিল্লি বা গুয়াহাটির সামনে মেঘালয় মাথা নীচু করবে না। উত্তর-পূর্ব ভারত ভগবানের, শান্তির, সম্প্রীতির। বিজেপির একাধিক বড় বড় নেতা এসেছিলেন বাংলায়। তাঁদের জায়গা কোথায় তা আমরা দেখিয়ে দিয়েছি।” মেঘালয়ে তৃণমূল যে ‘বহিরাগত’ নয় তা প্রমাণ স্বরূপ দাবি করেন অভিষেক।
এই বিষয়ে তিনি এক প্রকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, তৃণমূল জিতলেও মেঘালয়কে বাংলা শাসন করবে না। এখানের অধিবাসী খাসি, গারো, জয়ন্তিয়ারাই থাকবেন, কারণ মুকুল সাংমা-সহ বিধায়করা এখানকারই স্থানীয় বাসিন্দা। আগামী বছরের শুরুতেই ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। দুই রাজ্যেই ভোটে প্রার্থী দিতে চায় ঘাসফুল শিবির। এর আগে ত্রিপুরার পুরভোটে লড়লেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। এমনকী, মেঘালয়েও দেখা যায়নি তৃণমূলকে। তাই সময় নষ্ট না করে দুই রাজ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে উঠে পড়ে লেগেছে ঘাসফুল শিবির। মূলত সেই লক্ষ্যেই মেঘালয় সফর তৃণমূলনেত্রী।
তিনদিনের সফরে আজ মেঘের দেশে মমতা ও অভিষেক, লক্ষ্য মেঘালয় নির্বাচন।
MORE NEWS – আজ ১২ ডিসেম্বর, শুভেন্দুর ভবিষ্যদ্বাণীতে কী ফলতে চলেছে।
আজ সেই ১২ ডিসেম্বর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনটি তারিখ ঘোষণা করেছিলেন। ডিসেম্বরের ১২, ১৪ এবং ২১ তারিখ। ডিসেম্বর ডেডলাইন’–এর প্রথমদিন আজ, সোমবার। এই তিনটি তারিখে রাজ্যে ধামাকা হবে। তবে কী ধামাকা ঘটবে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই ইঙ্গিত দেননি। তাই বাংলার মানুষের কৌতূহলের সীমা নেই। CONTINUE READING